বিশ্বজুড়ে তথ্য আদান-প্রদানের অপরিবর্তনীয় ও নিরাপদ মাধ্যম ব্লক চেইন প্রযুক্তি চালু করা হচ্ছে। আগামী অর্থবছর থেকে এই প্রযুক্তি চালু করা হবে বলে বৃহস্পতিবার প্রস্তাবিত বাজেটে বলা হয়েছে।
এতে উল্লেখ করা হয়, বিশ্বে এ প্রযুক্তি একটি নিরাপদ মাধ্যম। আগামী অর্থবছর থেকে ব্লকচেইন প্রযুক্তি পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহার করা হবে।
প্রস্তাবিত বাজেটে বলা হয়, বিশ্বে তথ্য আদান প্রদানের মাধ্যম হয়ে উঠেছে ব্লকচেইন পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে আর্থিক লেনদেন ছাড়াও ব্যবসা-বাণিজ্য, মেধাসত্ব, স্বাস্থ্যসেবা, মালিকানার তথ্য সংরক্ষণ ও আদান-প্রদান শুরু হয়েছে। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশেও ব্লকচেইন প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করার সময় এসেছে।
ব্লকচেইন হচ্ছে তথ্য সংরক্ষণ করার একটি নিরাপদ এবং উন্মুক্ত পদ্ধতি (এএফপি)। এ পদ্ধতিতে তথ্য বিভিন্ন ব্লকে একটির পর একটি চেইন আকারে সংরক্ষণ করা হয়। এটি একটি অপরিবর্তনযোগ্য ডিজিটাল লেনদেন যা শুধুমাত্র অর্থনৈতিক লেনদেনের জন্যই প্রযোজ্য নয়। এ প্রযুক্তি ব্যবহার করে যেকোনো কাজ পরিচালনা রেকর্ড করা যেতে পারে। এটা এমন একটি বন্টনযোগ্য ডাটাবেজ যাতে অংশগ্রহণকারী পক্ষগুলোর মধ্যে সব লেনদেনের নথি করে রাখা যায়। প্রতিটি লেনদেন আবার সিস্টেমের সংখ্যাগরিষ্ঠতা দ্বারা যাচাই করা হয়। একবার লেজারে কোনো তথ্য প্রবেশ করলে স্থায়ীভাবে তা থেকে যায় এবং কখনো মুছে ফেলা যায় না। ব্লকচেইন প্রতিটি একক লেনদেনের যাচাইযোগ্য রেকর্ড নিয়ে গঠিত হয়।