শামীম আহমেদ, ॥ ঠিকাদারের উদাসিনতায় বরিশালের উজিরপুর উপজেলার জনগুরুত্বপূর্ণ ধামুরা খালের উপর গার্ডার ব্রিজ নির্মানে ধীরগতির কারনে চরম ভোগান্তিতে পরেছে ঐতিহ্যবাহী ধামুরা বন্দরের ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসীরা।
বরিশাল এলজিইডি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালে ধামুরা খালের আয়রন ব্রিজটি ট্রলারের সাথে ধাক্কা লেগে খালের মধ্যে ভেঙ্গে পরে। এর পরপরই ব্রিজটি নির্মানের উদ্যোগ গ্রহন করে এলজিইডি বিভাগ। পরবর্তীতে দরপত্রের মাধ্যমে ব্রিজটি নির্মাণের কার্যাদেশ পায় বরিশাল নগরীর ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স আমির কনস্ট্রাকশন।
পরবর্তীতে গত চার বছর পূর্বে কচ্ছপ গতিতে কাজ শুরু করেন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, ব্রিজ নির্মাণের শুরু থেকেই ঠিকাদার ধীর গতিতে নামেমাত্র শ্রমিক দিয়ে নির্মাণ কাজ চালিয়ে আসছেন। ব্রিজের গার্ডার নির্মাণের পর দীর্ঘদিন কাজ ফেলে রাখে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি।
ব্রিজের অধিকাংশ কাজই বর্তমানে অসমাপ্ত রয়েছে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি কবে নাগাদ কাজ শেষ করতে পারবে তা কেহই বলতে পারছেনা। তারা আরও জানান, বরিশাল নগরীর বাসিন্দা ঠিকাদার আমির হোসেন মূলত কি কারনে জনগুরুত্বপূর্ন এ ব্রিজটির নির্মান কাজ ধীর গতিতে চালাচ্ছেন তা খতিয়ে দেখে দ্রুত ব্রিজের নির্মান কাজ
সম্পন্নের দাবী জানিয়েছেন।
শোলক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ধামুরা বন্দর ব্যবসায়ী কমিটির সভাপতি ডাঃ আব্দুল হালিম জানান, নৌ-পথে পণ্য পরিবহনের জন্য ধামুরা খালটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন। খালটি দিয়ে শরিয়তপুর, মাদারীপুর, বরিশাল ও পিরোজপুর জেলার বিভিন্ন বন্দরের ব্যবসায়ীরা ট্রলারে পণ্য পরিবহন করতো। এছাড়াও উন্নয়ন কাজের জন্য বালুবাহী জাহাজগুলো এ খাল দিয়ে যাতায়াত করে। ঠিকাদারের খেমখেয়ালীপনায় গত চার বছর যাবত গুরুত্বপূর্ন ধামুরা খালে নৌ-চলাচল বন্ধ রয়েছে।
ফলে চরম ভোগান্তিতে পরেছেন ব্যবসায়ীসহ সাধারণ মানুষ। এ বিষয়ে ঠিকাদার আমির হোসেনের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করেও তিনি ফোন রিসিফ না করায় কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
ঠিকাদারের উদাসিনতার সত্যতা স্বীকার করে বরিশাল এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী শরীফ মোঃ জামাল উদ্দিন বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্রিজের নির্মান কাজ শেষ করার জন্য ঠিকাদারকে তাগিদ দেয়া হয়েছে। তারপরেও ঠিকাদার কাজে গাফিলতি করলে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করে তার বিরুদ্ধে
প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।