বরিশালে বিদ্যুৎ অফিসে কথিত যুবলীগ নেতার হাতে নির্বাহী প্রকৌশলী লাঞ্চিত ও দপ্তর ভাংচুর।

লেখক:
প্রকাশ: ৬ years ago

আজ সকাল আনুমানিক ১১ ঘটিকার সময় ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন লিঃ এর বিক্রয় ও বিতরন বিভাগ-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলীর দপ্তরে দুষ্কৃতিকারী তথাকথিত যুবলীগ পরিচয়ে নুর মোহাম্মদ নামে এক যুবক। নির্বাহী প্রকৌশলীর রুমে ডুকে ঠিকাদারী কাজ তার প্রতিষ্ঠান কে দেয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করেন ও গালাগালি করার এক পর্যায়ে, নির্বাহী প্রকৌশলী রাশেদ এর গায়ে হাত দিয়ে,,পরিস্থিতি ভয়াবহ করে তুলে

গন্ডগোল এর এক পর্যায়ে থানায় ফোন করলে মডেল থানা পুলিশ এসে সন্ত্রাসী নুরমোহাম্মদ কে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়।

অফিস সুত্রে জানা,গত ১০ই জানুয়ারী,চাদমারীস্থ বিদ্যুৎ অফিস এ বিবিবি-১,এর আওতায়, সুত্র নং-৫১৪,হাতেম আলী কলেজ ফিডার এর ০’৪/১১কেভি লাইন রুপাতলি সাব স্টেশন থেকে নির্মান ও পুর্নবাসন কাজে এগার লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকার কাজটি টেন্ডার এর মাধ্যমে প্রক্রিয়া সম্পন্য হয়।

 

১৪টি সিডিউল বিক্রি হয়,,কতিপয় ঠিকাদার কে সাথে নিয়ে নুরমোহাম্মদ কাজটি গুছ পক্রিয়ায় নেমে ব্যার্থ হয় এর জের ধরে। আজ উক্ত কাজটি তার পছন্দের ঠিকাদার কে দেয়ার জন্য এই ভাংচুর চালায়।

জানা গেছে, ৬/৭টি প্রতিস্টান এই দরপত্রে অংশগ্রহন করে,সিডিউল দাখিল করে। বর্তমানে নির্বাহী প্রকৌশলীর অফিস এ টেন্ডার এর মুল্যায়ন কমিটি দর যাচাই ও কাগজপত্র পরিক্ষা করে। খুলনা বিদ্যুৎ ভবন হেডকোয়ার্টার এ পাঠাবে, ওখান থেকেই সিদ্ধান্ত আসবে,,কোন প্রতিস্টান কাজটির কার্যাদেশ পাবে। এই সমস্ত প্রক্রিয়ার কথাগুলো, নির্বাহী প্রকৌশলী, গুছপার্টির প্রধান,নুর মোহাম্মদ কে জানিয়ে। তার অপারগতার কথা প্রকাশ করেন তারপরেও নুরমোহাম্মদ কাজটি পাওয়ার জন্য আজ এই সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটায়। নুর মোহাম্মদ নিজেকে বরিশাল মহানগর যুবলীগ এর সদস্য বলে পরিচয় দিলে ওসি কোতোয়ালি খবর নিয়ে জানতে পারেন। নুর মোহাম্মদ নামে বর্তমান যুবলীগের কমিটিতে কেউ নেই।

 

মিথ্যা দলীয় পরিচয় দিয়ে, সরকারী দপ্তরে হামলা করায় পুলিশ নুর মোহাম্মদ এর নামে মামলা দায়ের এর প্রস্তুতি নিতেছে। দলীয় নাম ভাঙ্গিয়ে,এই ধরনের কার্যক্রম করায় বিদ্যুৎ বিভাগ এর সকল কর্মীদের মধ্য ক্ষোভের সৃস্টি হয়। আওয়ামীলীগের নাম ভাঙ্গিয়ে, কেউ কোনো অপরাধ করলে,তার বিপরীতে কঠোর শাস্তি ঘোষনা করে। জিরো টলারেন্স ইতিমধ্যেই বর্তমান বিসিসি মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ্ শহরবাসীর প্রশংসা কুরিয়েছেন।

বিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা বর্তমান সিটি মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ ও বিএমপি পুলিশ কমিশনার এর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। অন্যথায় তারা ধর্মঘট এর মতো কঠোর কর্মসূচি নিতে বাধ্য হবে অবস্থান এ সকল কর্মীরা। নুরমোহাম্মদ কে থানা হইতে ছাড়িয়ে নেয়ার জন্য  তদবির চলতেছে।