চরফ্যাশনে বিটিসিএলের ক্যাবেল তার বিক্রি করে চা খায় শ্রমীকরা !

লেখক:
প্রকাশ: ৩ years ago

ভোলা জেলায় আন্তঃযোগাযোগ ব্যবস্থায় জেলার পরানগঞ্জ বাজার থেকে চরফ্যাশন-বাবুরহাট পর্যন্ত ৯৪ কিলোমিটার আঞ্চলিক মহাসড়কটি ৩০ফুট প্রশস্ত করার উন্নয়মূলক কাজ চলমান রয়েছে। ভোলা সড়ক ও জনপথ বিভাগের টেন্ডারে এ আঞ্চলিক মহাসড়ক উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ওটিবিএল।

 

এ নির্মাণ কাজে মাটি উত্তলনের সময় এক্সক্যাভেটর দ্বারা বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি লিমিটেডের (বিটিসিএল) অফটিক্যাল ফাইবার ও কোপারওয়ার তার (আন্ডার ক্যাবল) কাটা যাচ্ছে। প্রায় ৫ কোটি টাকার তার পুড়িয়ে নষ্ট করে তার বিক্রি করে চা পানি খায় শ্রমিকরা।

 

 

 

উপজেলা বিটিসিএল’র টেকনেশিয়ান মো. শহিদ জানান, আমরা এ বিষয়ে তাদের সঙ্গে কথা বলতে গেলে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের এক্সক্যাভেটর ড্রাইভার মো. খলিল ও শহিদসহ সংশ্লিষ্ট শ্রমীকরা আমাদের সঙ্গে খারপ ব্যবহার করে এবং শ্রমীকরা তারগুলো উঠিয়ে নিয়ে বিক্রী করে ফেলছে।

 

সরজমিন ঘুরে পানি উন্নয়বোর্ড ভোলা-২ সংলগ্ন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের অস্থায়ী কার্যালয়ের সামনে দেখা যায় শ্রমীকরা আগুনে তার পুড়িয়ে তামা সংগ্রহ করছে। জিজ্ঞেস করতেই শ্রমীকরা বলেন, মাটির সঙ্গে এ তার উঠে আসছে। তাঁরা এ তার বিক্রি করে চায়ের পয়সা সংগ্রহ করে চা খান।

 

বিটিসিএল চরফ্যাশন শাখার ইনচার্জ মো. ফয়েজ বলেন, নিয়ম অনুযায়ী আমাদের সহযোগীতা না নিয়েই চরফ্যাশনে জনতা বাজার থেকে ফ্যাশনগঞ্জ পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলোমিটার ক্যাবল তারগুলো মাটি উত্তলনের সঙ্গে খামখেয়ালীভাবে নষ্ট করে ফেলছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের শ্রমীকরা।

 

এছাড়াও ওই তার সংরক্ষণ না করে তাদের শ্রমিকরা আগুনে পুড়িয়ে তারের তামাগুলো বের করে বিক্রি করে ফেলছে। ভোলা কর্মকর্তা মনিরুল আলম বলেন, ভোলার ইলিশা থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটারের মধ্যে আমাদের বিটিসিএলের ভূগর্ভস্থ টেলিফোন ও ইন্টারনেটের ক্যাবল তার রয়েছে।

 

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকেরা আমাদের সঙ্গে সমন্বয় ছাড়াই ভোলা থেকে চরফ্যাশন পর্যন্ত সড়কের কাজ করছে। তারা এ নির্মাণ কাজ করতে গিয়ে বিটিসিএলের কয়েক কোটি টাকার ক্ষতি করেছে। আমরা ঊর্ধ্বোতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছি। তাদের এ ক্ষতির ফলে টেলিফোন ও ইন্টারনেটের লাইনগুলো নতুনভাবে কার্যক্রম ছাড়া সংস্কার করা সম্ভব না। যার ফলে অফিস আদালতসহ হাজারো গ্রাহক ভোগান্তীতে রয়েছে।

 

এ বিষয়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের এক্সক্যাভেটর ড্রাইভার খলিল বলেন, টেলিফোনের তার মাটির সঙ্গে ওঠলেও তা মাটির সঙ্গেই চলে যায় আবার ছিড়েও যায়। এ তার সংগ্রহ করতে হলে শ্রমিকের প্রয়োজন রয়েছে। ভোলা সড়ক ও জনপথ বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী মো. দিদারুল বলেন, এরকম হওয়ার কথা না।

 

কম্পানী ও কন্ট্রাক্টরের দায়িত্বে থাকা লোকজনকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। কোম্পানীর লোকজন যদি এরকম করে থাকে তাহলে এ বিষয়টি নিয়ে দায়িত্বে থাকা কোম্পানীর ঊর্ধ্বোতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।