 
                                            
                                                                                            
                                        
হেফাজতে ইসলামের প্রতিষ্ঠাতা আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফীর ছেলে আনাস মাদানীসহ ৪১ জনের নাম উল্লেখ করে চট্টগ্রাম আদালতে একটি হত্যা মামলার আবেদন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) চট্টগ্রাম জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাহরিয়ার ইকবালের আদালতে আবেদনটি করা হয় ।
তবে আদালত এটি আমলে নিয়ে হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নিয়মিত মামলা হিসেবে রেকর্ড করতে নির্দেশ দিয়েছেন।
২০২১ সালের মার্চে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আগমনকে কেন্দ্র করে হেফাজত আন্দোলন শুরু করে। প্রায় সাড়ে তিন বছর আগের ওই ঘটনায় নিহত মাদ্রাসাশিক্ষার্থী কাজী মিরাজুল ইসলামের বাবা কাজী জাহাঙ্গীর হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় শফীপুত্র আনাস মাদানী ছাড়াও চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা এম এ সালাম, চট্টগ্রাম জেলার সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) এস এম রশিদুল হক, হাটহাজারী সার্কেলের সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ আল মাসুম, হাটহাজারী থানার সাবেক ওসি রফিকুল ইসলাম, ফটিকছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দিন মুহুরী, হাটহাজারী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান রাশেদুল আলম ও ইউনুস গণি চৌধুরী, হাটহাজারী পৌরসভার সাবেক প্রশাসক মনজুরুল আলম চৌধুরী, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা নাসির হায়দার, পুলিশ পরিদর্শক রাজীব শর্মা, কেশব চক্রবর্তী, তৌহিদুল করিম (বর্তমানে নগরের চকবাজার থানার পরিদর্শক) ও আমির হোসেন, সাবেক উপপরিদর্শক (এসআই) মুকিব হাসান, কবির হোসেন, জসীমউদ্দীন এবং শাহাদাত হোসেনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। পাশাপাশি মামলাটিতে অজ্ঞাতনামা ১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী তাওহীদুল ইসলাম বলেন, আদালতে আমরা হত্যা মামলার আবেদন করেছি। আদালত এটিকে নিয়মিত মামলা হিসেবে রেকর্ড করার জন্য হাটহাজারী থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।