ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং: চাঁদপুরে নলকূপ চুরির হিড়িক

লেখক:
প্রকাশ: ২ years ago

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং-এর প্রভাবে চাঁদপুরের নানা স্থানে নলকূপ চুরির হিড়িক পড়েছে। বিদ্যুৎ না থাকা এবং মানুষজন নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে একটি সক্রিয় চক্র বাড়ি ঘরের আঙ্গিনা থেকে নলকূপ চুরি করে নিয়ে যেতে শুরু করেছে।

সোমবার (২৪ অক্টোবর) চাঁদপুর শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে নলকূপ চুরির এমন খবর পাওয়া যায়।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বৈরি আবহাওয়ায় বিদ্যুৎ সংকট ও অন্ধকার পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে কল চোর চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে। চাঁদপুর পৌরশহরের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাহের খলিশাডুলী গ্রামের কালু খাঁ ও তপন পোদ্দার বাড়ির দুটি নলকূল খুলে নিয়ে গেছে চোরের দল। এখন ওই বাড়ির লোকজন বিশুদ্ধ পানি সংকটে রয়েছেন।

চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আব্দুর রশীদ বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং-এর পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে নলকূপ চোর চক্র সক্রিয়ের খবর পাচ্ছি। কয়েকজনের নলকূপ চুরি হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। দ্রুতই আমরা অভিযান চালিয়ে এসব চোর চক্রের সদস্যদের আইনের আওতায় নিয়ে আসবো।’

এ বিষয়ে চাঁদপুর বিদ্যুৎ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, ‘বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। লাইনম্যানদের সতর্ক রেখেছি। যেকোন স্থানে বৈদ্যুতিক তার ছিড়ে গেলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’

চাঁদপুর জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। মতলব উত্তর, চাঁদপুর সদর ও হাইমচর উপজেলার মেঘনা নদীর পশ্চিম পাড়ের প্রায় ৩০টি চরাঞ্চলে বসবাসকারী মানুষদের নিরাপদ আশ্রয়ে রাখার জন্য ৩২৫টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে। এছাড়া ঘূর্ণিঝড়ে কেউ শারীরিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলে হাসপাতালে তাদেরকে বিনামূল্যে চিকিৎসা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।’

তিনি আরো বলেন, পাশাপাশি বৈরি আবহাওয়া ও পরিস্থিতি মোকাবেলায় চাঁদপুর থেকে সব রুটের লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।’