রাজধানীতে হাসনা হেনা ঝিলিক নামের এক গৃহবধূকে হত্যা করে সড়ক দুর্ঘটনার নাটক সাজানোর মামলায় স্বামী সাকিব আলম মিশুর তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। ঝিলিকের শ্বশুর-শাশুড়িসহ চারজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
রোববার (৪ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবদাস চন্দ্র অধিকারী এ আদেশ দেন।
কারাগারে যাওয়া চার আসামি হলেন—ঝিলিকের শ্বশুর জাহাঙ্গীর আলম, শাশুড়ি সাঈদা আলম, দেবর ফাহিম আলম এবং টুকটুকি।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার এসআই ফেরদৌস আলম সরকার পাঁচ আসামিকে আদালতে হাজির করেন। মিশুর ১০ দিনের রিমান্ড এবং অপর চার আসামিকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।
আসামিদের পক্ষে মেহেদী হাছানসহ কয়েকজন আইনজীবী শুনানি করেন। তারা মিশুর রিমান্ড বাতিলের আবেদনের শুনানিতে বলেন, ‘আসামি নির্দোষ, ঘটনার সঙ্গে জড়িত না। তার বিরুদ্ধে সুস্পষ্ট এবং সুনির্দিষ্ট অভিযোগ নেই। কোনো আলামতও উদ্ধার হয়নি। তিনি রিমান্ড বাতিল পাওয়ার হকদার।’
জাহাঙ্গীর আলম এবং সাঈদা আলমের জামিন শুনানিতে তারা বলেন, ‘আসামিরা বয়স্ক। ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত। জামিন দিলে তারা পলাতক হবেন না।’ অপর দুই আসামির পক্ষে জামিনের আবেদন ছিল না।’
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে সংশ্লিষ্ট থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন জামিন আবেদনের বিরোধিতা করেন।
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত মিশুর রিমান্ড এবং অপর আসামিদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এদিকে, তদন্ত কর্মকর্তা ফেরদৌস আলম আসামিদের পাঁচ কর্মচারীকে আদালতে হাজির করে স্বাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরী সাক্ষী আনিছ ও আবু তাহেরের এবং আরেক মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রে আবু সাঈদ সাক্ষী মো. আজাদ, সখিনা বেগম ও আনোয়ারা বেগমের জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
উল্লেখ্য, শনিবার (৩ এপ্রিল) হাসনা হেনা ঝিলিক (২৮) নামের এক গৃহবধূকে হত্যা করা হয়। পরে হাতিরঝিলে প্রাইভেটকার দুর্ঘটনার নাটক সাজায় তার স্বামী মিশু। এ ঘটনায় ঝিলিকের মা তাহমিনা হোসেন আসমা গুলশান থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।