গৃহকর্মী নিশিকে নির্যাতন: দম্পতি ৩ দিনের রিমান্ডে

লেখক:
প্রকাশ: ৪ years ago

ময়মনসিংহে শিশু গৃহকর্মী নিশি আক্তারকে নির্মম নির্যাতনের ঘটনায় গ্রেপ্তার গৃহকর্তা মিজানুর রহমান বাবুল ও তার স্ত্রী শারমিন রহমান মুন্নির তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

সোমবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে শুনানি শেষে ময়মনসিংহ অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আবদুল হাই রিমান্ড মঞ্জুর করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সুব্রত সাহা।

 

এসআই সুব্রত সাহা জানান, রোববার (৭ ফেব্রুয়ারি) গ্রেপ্তার ওই দম্পতিকে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়। আদালত আজ (সোমবার) দুজনকেই তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। তিনি বলেন, রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে তাদের কাছ থেকে বিস্তারিত তথ্য বের করা হবে।

শনিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ময়মনসিংহ নগরীর পাটগুদাম ব্রিজ মোড়ে ওই দম্পতি আহত গৃহকর্মী নিশি আক্তারকে বাবার কাছে ফিরিয়ে দেয়। এ সময় স্থানীয়রা নির্যাতনের বিষয় জানতে পেরে ওই দম্পতিকে আটক করে পুলিশে দেয়। রাতে কোতোয়ালি থানায় মামলা হয়।

এদিকে, নির্যাতনের শিকার শিশু নিশি আক্তারের চিকিৎসাসহ যাবতীয় দাযিত্ব নিয়েছেন ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার আহমারুজ্জামান। সকালে শিশুটির বাবা মজিবুর রহমানের হাতে ১৫ হাজার টাকা তুলে দেন তিনি। নিশিকে চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।

 

ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার রাজাবাড়িয়া গ্রামের শারীরিক প্রতিবন্ধী মজিবুর রহমানের মেয়ে নিশি আক্তার। সাড়ে তিন হাজার টাকা বেতনে অগ্রণী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) মিজানুর রহমান বাবুলের বাসায় কাজ করতো সে।

রাজধানীর তেজগাঁওয়ের ইন্দিরা রোডের বাসায় তিন বছর ধরে নিশির ওপর নির্যাতন করে মিজান ও তার স্ত্রী মুন্নি। নিশির শরীরে একাধিকবার ইস্ত্রি ও কাঁটা চামচ গরম করে ছ্যাঁকা দেওয়া এবং পেছনে হাতবেঁধে শরীরে গরম পানি ঢেলে দেওয়া অভিযোগ উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে। নিশির শরীরে নির্যাতনের ক্ষত রয়েছে।