গাজীপুরের নির্বাচনে সারা দেশ থেকে সন্ত্রাসী জড়ো করছে বিএনপি: জাহাঙ্গীর কবির নানক

লেখক:
প্রকাশ: ৭ years ago
জাহাঙ্গীর কবির নানক

গাজীপুরে সিটি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপি সারা দেশ থেকে সন্ত্রাসীদের জড়ো করছে বলে অভিযোগ করেছে আওয়ামী লীগ। তারা এই সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে।

আজ বুধবার দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক।

নানক বলেন, সরকারি সম্পদ ধ্বংস ও আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে নাশকতা মামলার দাগি অপরাধীদের সারা দেশ থেকে এনে গাজীপুরে জড়ো করছে বিএনপি। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের স্বার্থে অবিলম্বে এই সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান তিনি।

সাবেক প্রতিমন্ত্রী নানক বলেন, স্থানীয় সরকারব্যবস্থা স্থানীয় জনগণের জন্য সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। গাজীপুর সিটি করপোরেশনে বিএনপির মেয়র নির্বাচিত হয়ে বিএনপির রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রস্থল হিসেবে ব্যবহার করেছে। ওই এলাকার মানুষ সেবা পায়নি। তাই গাজীপুরের জনগণ বিএনপি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে, গাজীপুরের জনগণ বিএনপির কর্মকাণ্ডে তাদের আর দেখতে চায় না।

বিএনপি অপরাজনীতির পথ বেছে নিয়েছে দাবি করে নানক বলেন, ‘আমরা দেশবাসীকে বলতে চাই, বিএনপির শাসন মানে লুটপাট, সন্ত্রাস ও দুর্নীতির অপশাসন। বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে হাওয়া ভবন সৃষ্টি করে যে সন্ত্রাস দুর্নীতি ও অপরাজনীতি করেছে, এর জন্য দেশের মানুষ তাদের কাছ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।’ তিনি বলেন, আগামী সিটি নির্বাচনে বিএনপি তাদের নিশ্চিত ভরাডুবির আভাস পেয়ে তারা অপরাজনীতির পথ বেছে নিয়েছে। অপরাজনীতির তীব্র নিন্দা জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি হতাশাগ্রস্ত অবস্থা থেকে আবোলতাবোল বলছে। তারা শ্রমিকের অধিকার চেয়ে সমাবেশ করতে চেয়েছে। তারা আসলে শ্রমিক অধিকারের জন্য নয়, শ্রমিকের অধিকার হরণের জন্য সব সময় সচেষ্ট ছিল।

বিএনপিকে সমাবেশের অনুমতি না দেওয়ার বিষয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, গোয়েন্দা তথ্য ছিল বিএনপি বিশৃঙ্খলা করতে পারে, এমন খবর ছিল বলেই তাদের সোহরাওয়ার্দীতে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি।

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, উপদপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।