খেজুর আমদানিতে শুল্ক মওকুফের দাবি রিজভীর

লেখক:
প্রকাশ: ৯ মাস আগে

রমজান মাসের জন্য হলেও খেজুর আমদানিতে শুল্ক মওকুফের দাবি জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

শুক্রবার (৮ মার্চ) বিকেলে নয়াপল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান তিনি।

 

রিজভী বলেন, পবিত্র রমজান মাসে মানুষ একটু শান্তি এবং স্বস্তিকর পরিবেশে রোজা পালন করবে, ইফতার করবে, একাগ্রতা নিয়ে এবাদত বন্দেগি করবে, এমনটিই ছিল জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা। কিন্তু দেশে এক অস্বস্তিকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। প্রতিদিন বেড়েই চলছে চাল-ডাল-লবণ-তেল-চিনি-পেঁয়াজ-রসুন ও তরিতরকারির দাম। এমনকি রোজাদারদের জন্য ইফতারের প্রধান অনুষঙ্গ খেজুরের দাম পর্যন্ত পরিকল্পিতভাবে বাড়ানো হয়েছে। শেখ হাসিনার ‘ডামি সরকার’ বলছে, খেজুর নাকি বিলাসী পণ্য। এ অজুহাতে খেজুর আমদানির ওপর অস্বাভাবিক হারে শুল্কারোপ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, সচেতন জনগণের কাছে আমার জিজ্ঞাসা, রোজাদারদের কাছে খেজুর কি বিলাসী পণ্য? সাধারণ ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, বর্তমানে দেশে ১১০ টাকা কেজি দরে আমদানি করা খেজুরের শুল্ক দিতে হয় ১৪০ টাকা। ১২০ টাকা কেজি দরে আমদানি করা খেজুরের শুল্ক দিতে ২১০ টাকা। প্রশ্ন হচ্ছে, খেজুরের ওপর এমন অস্বাভাবিক হারে শুল্কারোপ করলে দাম কমবে কী করে? অন্তত রমজান মাসের জন্য হলেও খেজুর আমদানিতে শুল্ক মওকুফের দাবি জানাচ্ছি। এটা এখন সময়ের দাবি।

 

রিজভী বলেন, সরকার এখন কাউকে মানুষ বলেই গণ্য করছে না। আজ ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস। এমন এক সময় দিবসটি উদযাপন করা হচ্ছে যখন ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের হাতে দেশে নারীরা ঘরে-বাইরে-কর্মস্থলে সর্বত্রই বঞ্চিত, লাঞ্ছিত, শোষিত, নিপীড়িত ও খুনের শিকার হচ্ছেন। কর্তৃত্ববাদী শেখ হাসিনার গত ১৬ বছরের কুশাসনে সবচেয়ে বেশি লাঞ্ছিত ও অপমানিত হয়েছেন নারীরা। রাজনৈতিক চরিত্র হারিয়ে আওয়ামী লীগ এবং তাদের অঙ্গ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা সারাদেশে ভয়ংকর নারী নিপীড়কের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। রাষ্ট্রক্ষমতার আশ্রয়, প্ররোচনায় এদের অসভ্যতা বর্বর শক্তিতে পরিণত করেছে। বর্তমান নৈরাজ্যকর পরিস্থিতিতে শুধু রাত-বিরেতে নয়, দিনে-দুপুরে পথ চলতে নারীরাসহ সাধারণ মানুষের গা ছমছম করে।

তিনি বলেন, দেশের সর্বাধিক জনপ্রিয় নেত্রী, প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া একজন মহীয়সী নারী। যিনি অবরুদ্ধ গণতন্ত্রকে বার-বার মুক্ত করেছেন। যিনি বাংলাদেশ নারী সমাজের অগ্রগতিতে অসামান্য অবদান রেখেছেন। অথচ তাকে সীমাহীন হয়রানি ও হেনস্তার করার জন্য অন্যায় এবং বেআইনিভাবে মিথ্যা মামলায় আটক করে রাখা হয়েছে। সব মৌলিক মানবাধিকার, সাংবিধানিক অধিকারকে পদদলিত করে তাকে সুচিকিৎসার সুযোগ থেকে বঞ্চিত রাখা হয়েছে। অন্যায়ভাবে বেগম খালেদা জিয়াকে কারারুদ্ধ করে কেবল একজন রাজনৈতিক নেত্রীকেই নয় বরং দেশের কণ্ঠকেই রুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। শেখ হাসিনা নারী অধিকারের কথা বললেও আদতে সব ভাঁওতাবাজি। আওয়ামী লীগ ক্ষমতা থাকলে ভয় প্রাধান্য লাভ করে। কারণ এবারও ডামি নির্বাচনের পর প্রধানমন্ত্রীর মুুকুটে শোভিত হলো গণশক্রর এক কালিমা লিপ্ত পালক।