 
                                            
                                                                                            
                                        
২৫ মাসের বেশি সময় পর কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে ফেরার পরে মানসিকভাবে ভালো আছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। বৃহস্পতিবার থেকে ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকবেন তিনি।
অসুস্থ বেগম জিয়ার চিকিৎসা করছে দলের গঠিত মেডিকেল বোর্ড। চিকিৎসার সার্বিক তদারকি করবেন লন্ডনে অবস্থানরত পূত্রবধূ ডা. জোবায়দা রহমান। বোর্ডের চিকিৎসকরা তার সঙ্গে সমন্বয় করেই চিকিৎসা দেবেন। পরিবারের সদস্য ও দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে কাছে পেয়ে তিনি মানসিকভাবে অনেকটাই শক্তিশালী বোধ করছেন বলে জানিয়েছেন তার পরিবারের সদস্য ও বিএনপি নেতারা।
ছোট বোন সেলিমা ইসলাম জানিয়েছেন, করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি বিবেচনায় গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। আপাতত বাড়িতে যতটা সম্ভব চিকিৎসা দেয়া হবে। একটু সুস্থ্য হয়ে উঠলে, তার পছন্দমত হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসা দেয়া হবে। সেই পর্যন্ত চিকিৎসার যাবতীয় দেখভাল করবেন জোবায়দা রহমান।
তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, উনার শ্বাসকষ্ট আছে, কথা বলতে কষ্ট হচ্ছে, উঠে দাঁড়াতে পারছেন না। হাঁটতে পারছেন না, বসে থাকতেও বেশিক্ষণ পারছেন না, গায়ে হাত দিলেই ব্যথা লাগছে তার। খাওয়া দাওয়াও করতে পারছেন না, খেলেই বমি হয়ে যাচ্ছে। মুভ করানোর মতো অবস্থা নাই। তারও মতামত বাসাতেই থাকবেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম বলেন, ব্যক্তিগতসহ অন্য যেসব চিকিৎসকরা জেলে যাওয়ার আগে দেখতেন, তাদেরকে দিয়েই এই মেডিকেল বোর্ড করা হয়েছে। গত বুধবার প্রায় দুই ঘণ্টা পর্যবেক্ষণ শেষে আগের চিকিৎসা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার পরার্মশ দেয় ৬ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড।