 
                                            
                                                                                            
                                        
জাতিসংঘে রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিন্দাপ্রস্তাবে ভোটদানে কৌশলগত কারণে বাংলাদেশ বিরত ছিল বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, জাতিসংঘে কৌশলগত কারণে বাংলাদেশ ভোটদানে বিরত ছিল। ভারতও বিরত ছিল।
শনিবার (৫ মার্চ) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ প্রেক্ষাগৃহে ১৫তম আন্তর্জাতিক শিশুতোষ চলচ্চিত্র উৎসব উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তৃতা শেষে স্থানীয় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপি মহাসচিবের মন্তব্য ‘জাতিসংঘে রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিন্দাপ্রস্তাবে ভোটদানে বিরত থাকা সংবিধান লঙ্ঘন’ এ বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘে বাংলাদেশসহ সব দেশই বিভিন্ন সময়ে অনেক ক্ষেত্রে ভোটদানে বিরত থাকে। এবার যখন জাতিসংঘে এই প্রস্তাব আনা হয়, তখন ভারতসহ বিশ্বের অনেক দেশ ভোটদানে বিরত ছিল। মির্জা ফখরুল সাহেবের কাছে আমার প্রশ্ন, ভারত কেন ভোটদানে বিরত ছিল সেটিরও একটি ব্যাখ্যা যদি তিনি দেন।
বিএনপি নেতারা আসলে সব বিষয়ে মতামত দিতে দিতে কোনটাতে কী বলবেন খেই হারিয়ে ফেলেন উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, আমাদের পররাষ্ট্রনীতি হচ্ছে সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব। এবং আমরা অবশ্যই যে কোনো সংঘাতের বিরোধী। পৃথিবীতে শান্তি স্থাপিত হোক, শান্তি বিরাজ করুক সেটিই আমরা চাই। কৌশলগত কারণে বাংলাদেশ জাতিসংঘে ভোটদানে বিরত ছিল। ভারতও বিরত ছিল।
এর আগে চলচ্চিত্র উৎসব উদ্বোধনকালে মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ঠিকানায় দেশকে পৌঁছে দিতে বস্তুগত উন্নয়নের সঙ্গে প্রয়োজন আত্মিক ও মানবিক তথা জাতিগত উন্নয়ন। আর শিশুতোষ চলচ্চিত্র শিশু-কিশোরদের মেধা-মনন-দেশপ্রেম-মমতার বিকাশ ঘটিয়ে জাতিগত উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখে। ধারাবাহিকভাবে শিশুতোষ চলচ্চিত্র উৎসব আয়োজকদের ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানান ড. হাছান।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, আজকের শিশু চলচ্চিত্র নির্মাতাই হতে পারে আগামীর জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনের চলচ্চিত্র পুরস্কার বিজয়ী। আজকের শিশু-কিশোররাই আগামীর বাংলাদেশ গড়বে, তার প্রস্তুতির জন্য এমন আয়োজন গুরুত্বপূর্ণ।
চিলড্রেন’স ফিল্ম সোসাইটি বাংলাদেশ’র সভাপতি অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালের সভাপতিত্বে উৎসব উপদেষ্টা চলচ্চিত্রকার মোরশেদুল ইসলাম, ফিল্ম আর্কাইভের মহাপরিচালক মো. নিজামুল কবীর, উৎসব পরিচালক তরুণ চলচ্চিত্রকার শাহরিয়ার আল মামুন অনুষ্ঠানে তাদের বক্তৃতায় উৎসবের নানাদিক তুলে ধরেন।
ফিল্ম আর্কাইভে সপ্তাহব্যাপী এ উৎসবে শিশু-কিশোরদের নির্মিত ও শিশু-কিশোরদের জন্য নির্মিত ৩৮টি দেশের ১১৭টি চলচ্চিত্র বেলা ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত উন্মুক্তভাবে প্রদর্শিত হচ্ছে।