কেমন ভোট পেল আর্জেন্টিনা দল?

লেখক:
প্রকাশ: ৮ years ago

আর্জেন্টিনা দল নিয়ে বেশ সমালোচনা হচ্ছে। বিশেষ করে মাউরো ইকার্দি দলে ডাক না পাওয়ার তির ছুড়ছেন অনেকে। তবে আর্জেন্টিনা কোচ হোর্হে সাম্পাওলি বলেছেন, আর্জেন্টিনার খেলার ধরণের সঙ্গে সহজে মানিয়ে নিতে পারে এমন খেলোয়াড়দের দলে ডেকেছেন তিনি। সাম্পাওলি ২-৩-৩-২ ফরমেটে দল সাজাবেন। আর সে অনুযায়ী তার দল বলে উল্লেখ করেছেন সাবেক সেভিয়া কোচ।

তবুও রাশিয়া বিশ্বকাপের অন্যতম ফেবারিট আর্জেন্টিনা দল নিয়ে সমালোচনার থামছে না। সাবেক আর্জেন্টিনা তারকা হার্নান ক্রেসপো যেমন বলেছেন, ইকার্দি ফুটবল রাজনীতির শিকার। তার দলে জায়গা না পাওয়ার অন্য কোন কারণ নেই। আর এই সমালোচনার প্রেক্ষিতে একটি অনলাইন ভোটাভুটি করেছে আর্জেন্টিনার একটি সংবাদ মাধ্যম।

তাতে ভক্তরা অনলাইনে আর্জেন্টিনা দল ভালো, বেশ ভালো কিংবা ভয়ানক খারাপ এমন ভোট দেওয়ার সুযোগ পেয়েছেন। তবে ওই ভোটে ভালো এবং বেশ ভালো এই দুই অপশনেই বেশি ভোট পড়েছে। দারুণ দল, খারাপ এবং ভয়ানক খারাপ বলেও কেউ কেউ ভোট দিয়েছেন।

এই জরিপে মোট ৪৯৫ জন ভোট দিয়েছেন। এর মধ্যে ২১৪ জন মনে করেন ভালো দল হয়েছে আর্জেন্টিনার। শতকরা হিসেবে ৪৩ শতাংশ ভোট দাতা আর্জেন্টিনাকে ভালো দল মনে করছেন। বেশ ভালো মনে হয়েছে ৩৪ শতাংশ ভোটারের। এই অপশন বেছে নিয়েছেন ১৭০ জন।

এরপর ৭৫ জন বা ১৫ শতাংশ ভোটারের মতে সাম্পাওলির দল দারুণ হয়েছে। মেসিরা যে দল নিয়ে রাশিয়া যাচ্ছেন সেটা খারাপ হয়েছে বলে ভোট দিয়েছেন ২৪ জন। শতকরা হিসেবে অবশ্য মাত্র ৫ শতাংশের কাছাকাছি ভোটার এমন মনে করেন। আর প্রায় ২ শতাংশ বা ১২ জন ভোটারের মতে ভয়াবহ খারাপ দল হয়েছে আর্জেন্টিনার।

জাতীয়প্রচ্ছদরাজনীতিসাংবাদিক বার্তা এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
কমলাপুর রেলস্টেশনের ঘাস নিয়ে লাইভ করার পর এবার ট্রেনে ওঠার সময় নারী ও বৃদ্ধাদের ঝুঁকি নিয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ফের ফেসবুক লাইভ করলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন। বৃদ্ধ মা-বাবা, স্ত্রী ও বাচ্চাদের নিয়ে যারা রেলে চলাফেরা করেন তাদের প্রতি কি একটু সহায় হবেন- এমন আহ্বান জানান তিনি। তিনি প্রশ্ন তোলেন, কেউ যদি বউ-বাচ্চা, বৃদ্ধা মা-বাবাকে নিয়ে ট্রেনে উঠতে চান তা হলে বউ থাকবে কই আর মা-বাবা থাকবে কই। শুক্রবার (৫ জুলাই) রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে ফেসবুকে লাইভে এসে এসব কথা বলেন ব্যারিস্টার সুমন। লাইভে এসে প্ল্যাটফর্ম থেকে ট্রেনে ওঠার সিঁড়ির দূরত্ব দেখিয়ে সুমন বলেন, ‘এই ট্রেনটাকে মিটার গেজ (পরে সংশোধন করে বলেন ব্রডগেজ) বলা হয়। আমার প্রশ্ন হলো-প্ল্যাটফ্রম থেকে দূরত্ব বা উচ্চতা কত? ব্রিটিশ আমলের ট্রেনগুলো ছিল এমন। আপনারা (রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ) নতুন ট্রেন আনলেন কিন্তু প্ল্যাটফর্ম এখনো পুরনো।’ রেলওয়ে স্টেশনে উপস্থিত লোকদের দেখিয়ে তিনি বলেন, ‘দেখেন সবাই, প্ল্যাটফর্ম থেকে ট্রেনের উচ্চতা দোতলার সমান। কোনো স্টেশনে ট্রেনটি তিন মিনিট থামে। তিন মিনিটে ৫০ জন মানুষ প্রায় দুই তলার সমান উচ্চতায় ওঠা কি সম্ভব?’ রেলমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘রেলমন্ত্রী, ট্রেন আপনি অনেক উঁচু বানিয়ে দিছেন। আর প্ল্যাটফর্ম এখানে বিট্রিশ আমলের। আমি কমলাপুর সেন্ট্রাল স্টেশন থেকে বলছি। আর গ্রামের স্টেশনগুলোর অবস্থা তো আরও খারাপ। সেখানে ট্রেনে উঠতে তো রীতিমতো যুদ্ধ করতে হয়। বউ বাচ্চা নিয়ে ওঠা একটা বে-ইজ্জতের কারবার।’ তিনি আরও বলেন, ‘দুনিয়া এগোচ্ছে, সব কিছু এগোচ্ছে। রাতারাতি পরিবর্তন করতে পারবেন না। তবে ব্রেইনে আনেন পরিবর্তন করার। আপনারা বউ-বাচ্চা লইয়া ট্রেনে যাতায়াত করবেন কি-না জানি না। তবে, এই প্ল্যাটফর্ম ট্রেনের সমান করতে কোটি কোটি টাকার দরকার পড়বে না। আশা করি রেলমন্ত্রীসহ সকলেই এর প্রতি সদয় হবেন।’ এর আগে (৩০ মে) ব্যারিস্টার সুমন স্টেশনের সামনে রেললাইনের ওপর বেড়ে ওঠা ঘাস কেটে পরিচ্ছন্ন করার অনুরোধ জানিয়ে তার নিজের ফেসবুক পেজে লাইভ দেন। এর পরদিনই (শুক্রবার) সেসব ঘাস কেটে পরিষ্কার করে ফেলে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। পরিবারকে গ্রামের বাড়িতে পাঠানোর জন্য ট্রেনে তুলে দিতে কমলাপুর রেলস্টেশনে গিয়ে ফেসবুক লাইভে আসেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। সেখানে তিনি দেখেন, রেললাইনের ওপর বড় বড় ঘাস জন্মেছে। যা কাটার জন্য কারো সময় নেই। ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘রেলের সময় নিয়ে আমার কোনো অভিযোগ নেই। মোটামুটি ভালোই চলতেছে। এজন্য রেল কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাই।’ ওই লাইভে তিনি আরও বলেন, এটা দেশের সবচেয়ে বড় রেলস্টেশন। এটা কেন্দ্রীয় রেল স্টেশন। এ সময় তিনি এক হাত লম্বা লম্বা ঘাস দেখিয়ে বলেন, ‘কিছু লোক লাগিয়ে ঘাসগুলো পরিষ্কার করলে স্টেশনটা অনেক সুন্দর হয়ে যেত।’
৬ years ago