বরিশাল নগরী ঘেষা কীর্তণখোলা নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। এছাড়াও বরিশাল অঞ্চলের আরও ৬ নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
মঙ্গলবার রাত পৌনে ৯টায় বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
জানা গেছে, কীর্তণখোলা নদীর পানি বিপৎসীমা ২ দশমিক ৫৫ সেন্টিমিটার হলেও বর্তমানে প্রবাহিত হচ্ছে ২ দশমিক ৫৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে। এছাড়াও ভোলার দৌলতখান সংলগ্ন সুরমা ও মেঘনা নদীর পানি বিপৎসীমা ৩ দশমিক ৪১ সেন্টিমিটার, বর্তমানে বিপৎসীমা অতিক্রম করে ৩ দশমিক ৭৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। তজুমদ্দিন এলাকার সুরমা ও মেঘনা নদীর বিপৎসীমা ২ দশমিক ৮৩, বর্তমানে প্রবাহিত হচ্ছে ৩ দশমিক ৫০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে।
পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের পায়রা ও বুড়িশ্বর নদীর বিপৎসীমা ২ দশমিক ৮১, প্রবাহিত হচ্ছে ২ দশমিক ৮৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে। বরগুনার পাথরঘাটার বিষখালি নদীর বিপৎসীমা ২ দশমিক ৮৫, প্রবাহিত হচ্ছে ৩ দশমিক ৩৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে এবং উমেদপুরের কচা নদীর বিপৎসীমা ২ দশমিক ৬৫, বর্তমানে প্রবাহিত হচ্ছে ২ দশমিক ৭২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড বরিশালের উপ সহকারি প্রকৌশলী মো: মাসুম জানান, বর্ষা মৌসুমে বিভাগের মোট ২৩টি নদীর পানি প্রবাহ পর্যবেক্ষণ করা হয়। তবে বর্তমানে গুরুত্বপূর্ণ ১০টি নদীর পানি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় সাতটি নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে করে বিভাগের অনেক নিম্নাঞ্চল এলাকা তলিয়ে গেছে।