কিশোরগঞ্জের মানুষ কিশোরই থেকে গেছে : প্রধানমন্ত্রী

লেখক:
প্রকাশ: ৫ years ago

কিশোরগঞ্জে প্রচুর ধান ও মাছ উৎপাদন হলেও সেগুলো সংরক্ষণের জন্য আধুনিক চালের মিল কিংবা মাছের হ্যাচারি গড়ে ওঠেনি। গড়ে ওঠেনি শিল্প কলকারখানা। অন্যদিকে মুজিবনগর সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান ও বর্তমান রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বাড়ি কিশোরগঞ্জে। তারা হয় রাষ্ট্রপতি কিংবা কিশোরগঞ্জের মানুষ কিশোরই থেকে যাওয়ায় সেখানে এখনও এগুলো গড়ে ওঠেনি বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সোমবার (২০ এপ্রিল) সকালে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে ঢাকা বিভাগের কিশোরগঞ্জ, টাঙ্গাইল, গাজীপুর ও মানিকগঞ্জ জেলা এবং ময়মনসিংহ বিভাগের জেলাগুলোর সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

কিশোরগঞ্জের বিষয়ে আলোচনার সময় প্রধানমন্ত্রী জিজ্ঞাসা করেন, ‘কিশোরগঞ্জে এত ধান হয়, সেখানে আধুনিক রাইস মিল আছে?’

জবাবে কিশোরগঞ্জের এক প্রতিনিধি বলেন, ‘এখানে কোনো রাইস মিল নাই। আপনার বদন্যতায় ও রাষ্ট্রপতির চেষ্টায় যোগাযোগ ব্যবস্থা হইছে। এখন শিল্প গড়ে উঠবে। এখানে আমাদের এতদিন তো যোগাযোগ ব্যবস্থাই ছিল না।’

উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আসলে তা না। কিশোরগঞ্জের মানুষ কিশোরই থেকে গেছে। তারা চিন্তাই করে নাই যে, রাইস মিল লাগবে। ইউনিভার্সিটি করা, হাওরে মাছ ওঠে সেটার জন্য হ্যাচারি তৈরি করা, মাছ ধরে রাখা- এগুলো নাই। এ জন্যই বললাম, কিশোরগঞ্জ একদিকে কিশোর থেকে গেছে, ওদিকে আবার দেখা গেল, কিশোরগঞ্জ তো রাষ্ট্রপতির জেলা। কিশোরগঞ্জ থেকেই স্বাধীনতাযুদ্ধ চলাকালীন উপ-রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম সাহেব অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি হিসেবে যুদ্ধ পরিচালনার দায়িত্ব নিলেন। এরপর জিল্লুর রহমান সাহেব রাষ্ট্রপতি। আবদুল হামিদ সাহেব রাষ্ট্রপতি। মানে কিশোরগঞ্জ তো রাষ্ট্রপতির জেলা। সে জন্য কিশোরগঞ্জ মনে করে, আমরা তো রাষ্ট্রপতি। এটাও আবার একটা বিষয় আছে। এই জন্যই মনে হয় কিছুই হয় না।’

পরামর্শ দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমার মনে হয়, ওখানে অনেক ব্যবসায়ী আছে। একটা আধুনিক রাইস মিল যদি করা যায়, তাহলে কৃষকরা যত ধান পাবে, আমরাও সেই ফসল রাখতে পারব। তাছাড়া আপনারা জানেন যে, আমরা নতুন কয়েকটি সাইলো তৈরি করছি। যেমন সান্তাহারে আমরা করেছি। প্রায় তিন বছর পর্যন্ত চাল সেখানে ভালো থাকবে। কিশোরগঞ্জের মাছ, চাল- এগুলো দিয়েই তো মানুষ অনেক অর্থশালী, সম্পদশালী হয়ে যাবে।

বিশ্ব পরিস্থিতি তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এখন যে অবস্থা এটা কতদিন চলবে সেটা কেউ বলতে পারে না। দ্বিতীয় কথা হচ্ছে, বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক অবস্থা স্থবির। অনেক আন্তর্জাতিক অবস্থাই বলছে, এমনকি জাতিসংঘের মহাসচিব থেকে শুরু করে সবাই বলছে, সারাবিশ্বে দুর্ভিক্ষ ও অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দেবে। সে কারণে আমরা প্রণোদনা দিয়েছি। সেটা আশুকরণীয়, আবার দীর্ঘমেয়াদি। তিন বছরের জন্য আমাদের শিল্প কলকারখানা কৃষি সবক্ষেত্রেই আমরা কিন্তু ব্যবস্থা নিয়েছি।’