ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ও সদ্য বহিষ্কৃত যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। রবিবার রাত সোয়া আটটার দিকে তাকে কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ডেপুটি জেলার জাহেদুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে গণমাধ্যমকে জানান, ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটকে সাধারণ বন্দী হিসেবে কারাগারে রাখা হয়েছে।
এর আগে শনিবার দিবাগত রাতে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থানার আলকরা ইউনিয়নের কুঞ্জশ্রীপুর গ্রামের একটি বাড়ি থেকে সম্রাট ও তার সহযোগী এনামুল হক আরমানকে আটক করে র্যাব।
পরে তাদের ঢাকায় এনে সম্রাটকে নিয়ে কাকরাইলে তার কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে কার্যালয় থেকে এক হাজার ১৬০ পিস ইয়াবা, বেশ কিছু বিদেশি মদ, দুটি ক্যাঙ্গারুর চামড়া, দুটি ইলেকট্রিক শক মেশিন, একটি বিদেশি পিস্তল ও ছয় রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।
কাকরাইলের ভূঁইয়া ম্যানশনে র্যাবের অভিযান। ছবি: ফোকাস বাংলা
এ ঘটনায় র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনে সম্রাটকে ছয় মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেন। এ ছাড়া মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনেও সম্রাটকে ছয় মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।
র্যাব জানিয়েছে, গ্রেপ্তারের সময় সম্রাট ও আরমান মদ্যপ ছিলেন। তাদের কাছে বিদেশি মদ ছিল।
এদিকে একই সময়ে রাজধানীর শান্তিনগরে শেলটেক টাওয়ারের পঞ্চম তলায় এবং মহখালী ডিওএইচএসের ২৯ নম্বর সড়কে সম্রাটের দুটি বাসায় এবং মিরপুর দুই নম্বর সেকশনেও অভিযান চালায় র্যাব।