ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে জামিনের পর কেরানীগঞ্জ কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন সাংবাদিক শামসুজ্জামান শামস।
সোমবার (৩ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে তিনি মুক্তি পান।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শামসুজ্জামানের মামাতো ভাই ফারুক হোসেন।
গত ২৯ মার্চ রাতে রমনা থানায় প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান, পত্রিকাটির সাভারের নিজস্ব প্রতিবেদক শামসুজ্জামান ও ক্যামেরাম্যানসহ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদেরও আসামি করে মামলা করেন আইনজীবী আবদুল মালেক। মামলায় প্রিন্ট, অনলাইন ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া ব্যবহার করে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ও সুনাম ক্ষুণ্ণ করার অভিযোগ আনেন বাদী আব্দুল মালেক।
মামলা দায়েরের পর শামসুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ৩০ মার্চ জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। রোববার প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান উচ্চ আদালত থেকে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন পান।
২৬ মার্চ প্রথম আলো অনলাইনের একটি প্রতিবেদন ফেসবুকে প্রকাশের সময় দিনমজুর জাকির হোসেনের উদ্ধৃতি দিয়ে একটি ‘ফটোকার্ড’ তৈরি করা হয়। সেখানে উদ্ধৃতিদাতা হিসেবে দিনমজুর জাকির হোসেনের নাম থাকলেও ছবি দেওয়া হয় একটি শিশুর। পোস্ট দেওয়ার পর অসংগতি নজরে আসে এবং দ্রুত তা প্রত্যাহার করা হয়। পাশাপাশি প্রতিবেদন সংশোধন করে সংশোধনীর বিষয়টি উল্লেখসহ পরে আবার অনলাইনে প্রকাশ করা হয়। এ ঘটনার জেরে গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২টা ১৫ মিনিটে শামসুজ্জামান শামসের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন সৈয়দ মো. গোলাম কিবরিয়া নামের এক ব্যক্তি।
মুক্তির পর প্রতিক্রিয়া জানালেন শামস
আজকে জামিনে মুক্তি পেয়েছি। মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলাম। এখন ভালো লাগছে। অফিস থেকে শুরু করে সাংবাদিক সমাজ, দেশের মানুষ, যারা বাইরে ছিল, ক্যাম্পাসের ছোট ভাই, বাইরের সব মানুষ পাশে ছিলেন- সেটা আমাকে শক্তি, সাহস, আনন্দ দিয়েছে। সারা বাংলাদেশের মানুষের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ কারণ তারা আমার পাশে ছিলেন। আমার ভয়েসটা বাইরে থেকে মানুষের মধ্যে পেয়েছি। মানুষই বলেছে। তাদের বলার কারণেই বিষয়টি পরিষ্কার হয়েছে। তার কারণেই মুক্তি পেয়েছি। সবার প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।
সবাই আন্তরিক ছিলেন। সবাই খুব পজিটিভলি সমস্যাগুলো হ্যান্ডেল করেছেন। সিআইডি অফিস থেকে শুরু করে কারাগার পর্যন্ত প্রত্যেকটা জায়গায় খুব ইতিবাচক মনোভাব পেয়েছি। তারা খোঁজখবর নিয়েছেন। আমার কোনও সমস্যা বা প্রয়োজন আছে কি না। আমি তাদের প্রতিও কৃতজ্ঞ।