কর্মহীন ত্রাণবঞ্চিত পরিবহন শ্রমিকের মাঝে যাত্রী কল্যাণ সমিতির ত্রাণ বিতরণ

লেখক:
প্রকাশ: ৫ years ago

ঢাকা: ২২ মে ২০২০, শুক্রবার : দীর্ঘ লকডাউনে কর্মহীন, দরিদ্র ও ত্রাণবঞ্চিত অসহায় পরিবহনের চালক-শ্রমিকদের প্রায় ৩০০ পরিবার খুঁজে খুঁজে ত্রাণ বিতরণ করেছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির “যাত্রী কল্যাণ করোনা সেচ্ছাসেবী গ্রুপ”। রাজধানী ঢাকার যাত্রাবাড়ি, ডেমরা, মাতুয়াইল ও নারায়ণগঞ্জে ৭৫টি পরিবার। চট্টগ্রামের বাকলিয়া, বলিরহাট, বহদ্দারহাট এলাকায় কর্মহীন, দরিদ্র ও ত্রাণ বঞ্চিত ২২০টি পরিবহন চালক-শ্রমিকের পরিবারের ঘরে ঘরে গিয়ে এসব ত্রাণ পৌঁছে দেন সংগঠনের করোনা সেচ্ছাসেবী সদস্যরা। আজ দিনব্যাপী এই ত্রাণ বিতরণ কর্মসূচী পালিত হয়।

ঢাকার ৫০টি পরিবারে ঘরে ঘরে ত্রাণ পৌঁছে দেন সংগঠনের করোনা সেচ্ছাসেবী গ্রুপের সদস্য জিয়াউল হক চৌধুরী, আমজাদ হোসেন ও আবুল কালাম। নারায়ণগঞ্জে ২৫টি পরিবারে ত্রাণ পৌঁছে দেন এম মনিরুল হক, আনোয়ার হোসেন।

চট্টগ্রামের বাকলিয়া, বলিরহাট ও বহদ্দারহাট এলাকায় ২২০টি পরিবারে ত্রাণ পৌঁছে দেন “যাত্রী কল্যাণ করোনা সেচ্ছাসেবী গ্রুপ” সদস্য মোক্তার হোসেন, ওসমান জাহাঙ্গীর, আকতার মিয়া ও আবদুল কাদের।

উল্লেখ্য যে, যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোঃ মোজাম্মেল হক চৌধুরীসহ সংগঠনের সদস্যদের ব্যক্তিগত অর্থায়নে এই পর্যন্ত প্রায় ৫০০ শতাধিক পরিবহন শ্রমিকদের পরিবারে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।

সংগঠনের মহাসচিব মোঃ মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, দীর্ঘ লকডাউনে কর্মহীন, দরিদ্র ও ত্রাণবঞ্চিত অসহায় পরিবহনের চালক-শ্রমিকদের বহু পরিবার অবর্ণনীয় দুর্ভোগের মধ্যে দিনাতিপাত করছে। খুঁজে খুঁজে ত্রাণবঞ্চিত এসব পরিবারকে সহায়তা করার জন্য তিনি সরকারের সংশ্লিষ্টদের কাছে দাবী জানান। একই সাথে মালিক ও শ্রমিক সংগঠনগুলোকে ত্রাণবঞ্চিত শ্রমিকদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।

খেলাধুলাপ্রচ্ছদফুটবল এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
কমলাপুর রেলস্টেশনের ঘাস নিয়ে লাইভ করার পর এবার ট্রেনে ওঠার সময় নারী ও বৃদ্ধাদের ঝুঁকি নিয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ফের ফেসবুক লাইভ করলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন। বৃদ্ধ মা-বাবা, স্ত্রী ও বাচ্চাদের নিয়ে যারা রেলে চলাফেরা করেন তাদের প্রতি কি একটু সহায় হবেন- এমন আহ্বান জানান তিনি। তিনি প্রশ্ন তোলেন, কেউ যদি বউ-বাচ্চা, বৃদ্ধা মা-বাবাকে নিয়ে ট্রেনে উঠতে চান তা হলে বউ থাকবে কই আর মা-বাবা থাকবে কই। শুক্রবার (৫ জুলাই) রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে ফেসবুকে লাইভে এসে এসব কথা বলেন ব্যারিস্টার সুমন। লাইভে এসে প্ল্যাটফর্ম থেকে ট্রেনে ওঠার সিঁড়ির দূরত্ব দেখিয়ে সুমন বলেন, ‘এই ট্রেনটাকে মিটার গেজ (পরে সংশোধন করে বলেন ব্রডগেজ) বলা হয়। আমার প্রশ্ন হলো-প্ল্যাটফ্রম থেকে দূরত্ব বা উচ্চতা কত? ব্রিটিশ আমলের ট্রেনগুলো ছিল এমন। আপনারা (রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ) নতুন ট্রেন আনলেন কিন্তু প্ল্যাটফর্ম এখনো পুরনো।’ রেলওয়ে স্টেশনে উপস্থিত লোকদের দেখিয়ে তিনি বলেন, ‘দেখেন সবাই, প্ল্যাটফর্ম থেকে ট্রেনের উচ্চতা দোতলার সমান। কোনো স্টেশনে ট্রেনটি তিন মিনিট থামে। তিন মিনিটে ৫০ জন মানুষ প্রায় দুই তলার সমান উচ্চতায় ওঠা কি সম্ভব?’ রেলমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘রেলমন্ত্রী, ট্রেন আপনি অনেক উঁচু বানিয়ে দিছেন। আর প্ল্যাটফর্ম এখানে বিট্রিশ আমলের। আমি কমলাপুর সেন্ট্রাল স্টেশন থেকে বলছি। আর গ্রামের স্টেশনগুলোর অবস্থা তো আরও খারাপ। সেখানে ট্রেনে উঠতে তো রীতিমতো যুদ্ধ করতে হয়। বউ বাচ্চা নিয়ে ওঠা একটা বে-ইজ্জতের কারবার।’ তিনি আরও বলেন, ‘দুনিয়া এগোচ্ছে, সব কিছু এগোচ্ছে। রাতারাতি পরিবর্তন করতে পারবেন না। তবে ব্রেইনে আনেন পরিবর্তন করার। আপনারা বউ-বাচ্চা লইয়া ট্রেনে যাতায়াত করবেন কি-না জানি না। তবে, এই প্ল্যাটফর্ম ট্রেনের সমান করতে কোটি কোটি টাকার দরকার পড়বে না। আশা করি রেলমন্ত্রীসহ সকলেই এর প্রতি সদয় হবেন।’ এর আগে (৩০ মে) ব্যারিস্টার সুমন স্টেশনের সামনে রেললাইনের ওপর বেড়ে ওঠা ঘাস কেটে পরিচ্ছন্ন করার অনুরোধ জানিয়ে তার নিজের ফেসবুক পেজে লাইভ দেন। এর পরদিনই (শুক্রবার) সেসব ঘাস কেটে পরিষ্কার করে ফেলে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। পরিবারকে গ্রামের বাড়িতে পাঠানোর জন্য ট্রেনে তুলে দিতে কমলাপুর রেলস্টেশনে গিয়ে ফেসবুক লাইভে আসেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। সেখানে তিনি দেখেন, রেললাইনের ওপর বড় বড় ঘাস জন্মেছে। যা কাটার জন্য কারো সময় নেই। ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘রেলের সময় নিয়ে আমার কোনো অভিযোগ নেই। মোটামুটি ভালোই চলতেছে। এজন্য রেল কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাই।’ ওই লাইভে তিনি আরও বলেন, এটা দেশের সবচেয়ে বড় রেলস্টেশন। এটা কেন্দ্রীয় রেল স্টেশন। এ সময় তিনি এক হাত লম্বা লম্বা ঘাস দেখিয়ে বলেন, ‘কিছু লোক লাগিয়ে ঘাসগুলো পরিষ্কার করলে স্টেশনটা অনেক সুন্দর হয়ে যেত।’
৬ years ago