করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে আরও ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে ১৪ জন পুরুষ ও ৬ জন নারী। তাদের মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৯ জন ও বাড়িতে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে এই মহামারিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৭ হাজার ৩৯৮ জনে। এছাড়া, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ১ হাজার ১৬৩ জন।
শুক্রবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
গত ২৪ ঘণ্টায় ১৬৩টি ল্যাবরেটরিতে ১৩ হাজার ৫১০টি নমুনা সংগ্রহ ও ১৩ হাজার ৬৯৫টি নমুনা পরীক্ষা করে এসব তথ্য জানা গেছে। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়াল ৩১ লাখ ৪৯ হাজার ৩৪৮টি।
এই সময়ের মধ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন আরও ১ হাজার ১৬৩ জন। এ নিয়ে দেশে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৫ লাখ ৭ হাজার ২৬৫ জন।
এদিকে, রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতাল ও বাড়িতে উপসর্গবিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ১১৩ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৪ লাখ ৪৮ হাজার ৮০৩ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার হার ৮ দশমিক ৪৯ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ১১ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৮ দশমিক শূন্য ৪৭ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৬ শতাংশ।
চলতি বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত ও ১৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগীর মৃত্যু হয়। ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট মৃত্যু ৭ হাজার ৩৯৮ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ৫ হাজার ৬৩৬ জন (৭৬ দশমিক ১৮ শতাংশ) ও নারী ১ হাজার ৭৬২ জন (২৩ দশমিক শূন্য ৮২ শতাংশ)।
মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত ২০ জনের মধ্যে দশোর্ধ্ব একজন, চল্লিশোর্ধ্ব চারজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব পাঁচজন এবং ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে ১০ জন রয়েছেন।
বিভাগীয় হিসেবে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত ২০ জনের মধ্যে ঢাকায় ১২ জন, চট্টগ্রামে তিনজন, খুলনায় দুইজন, রংপুরে দুইজন এবং ময়মনসিংহের একজন রয়েছেন।