ডেক্স রিপোর্ট:: বাকেরগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি দানিসুর রহমান লিমন বলেছেন, করোনা ভাইরাস সংকট প্রায় তিন মাস যাবত প্রকট আকার ধারণ হয়েছে। যে কারনে সবচেয়ে বেশি কষ্টে দিনযাপন করতে হচ্ছে সমাজেট মধ্যবিক্ত পরিবারকে। তারা সহজে না পারছেন কারো কাছে কিছু চাইতে, আবার মানসম্মানের কথা চিন্তা করে খেয়ে না খেয়ে কোনরকমে নীরবে জীবনযাপন করছেন। বোবা কান্না ছাড়া তাদের আর কিছুই করার নেই।
এদের কয়েকজন খবর নিয়ে মনে হাজারোও প্রশ্ন মনে ঘুরপাক খাচ্ছে। এমনতো হওয়ার কথা ছিলোনা। মহান আল্লাহর কঠিন গজব (কোভিড ১৯) করোনা সংকট মোকাবেলা করতে সরকার প্রাণপন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে করোণা যোদ্ধা সাংবাদিকদের জন্য সরকারের কোন প্রনোদনা ঘোষণা নেই। পৃথিবীর বাস্তবতার আসল রূপ মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানরাই বেশি দেখতে পায়। আর তাই এই করোনায় বেশী বিপাকে পড়েছেন কাজ হারানো ও কর্মহীন সেই মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষগুলো। সরকারি, বেসরকারি ও বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের উদ্যোগে অসহায়, গরীব ও দুস্থদের মাঝে খাদ্য-সামগ্রী বিতরণ করা হলেও, অপ্রতুল খাদ্য সামগ্রী পাচ্ছেন মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো।
অন্যদিকে নিম্ন মধ্যবিত্ত অসহায় পরিবারগুলো সবার দেয়া সহযোগিতা পাচ্ছেন। মধ্যবিত্ত অসহায় পরিবারগুলো লোকচক্ষুর লজ্জায় তাঁরা কোথাও না ত্রাণ আনতে যেতে পারছেন, না বলতেও পারছেন। আত্মসম্মানবোধ তাদের জন্য বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এক বুক জ্বালা আর ব্যথা নিয়েই জীবনের বাস্তবতার মোকাবেলা করছেন তারা। তাই সরকারি-বেসরকারি ও বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নিকট অনুরোধ যে কোন ত্রাণ সামগ্রী বিতরণের সময় যেন মধ্যবিত্ত পরিবারের কথা বিবেচনা করে তাদের মাঝে স্ব-উদ্যোগে বিতরণ করা হয়।
পরিস্থিতি এমনও যদি হয় করোনার তাণ্ডবে দীর্ঘ লকডাউনে জীবন বাস্তবতার মোকাবেলায় এই শ্রেণীর মানুষগুলোর খাদ্য সংকট তীব্র হবে। যদিও একদিন এই সমস্যা কেটে যাবে ইনশাআল্লাহ। মাহে রমজানের উছিলায় হলেও যেন মহান আল্লাহতালা করোনা ভাইরাসের মহামারী দূর করে দেয়। বিনা প্রয়োজনে কেউ ঘরের বাহিরে বের হবেন না। সকলে ঘরে থাকুন, সুস্থ থাকুন নিরাপদ থাকুন।