‘কওমি জননী’ উপাধি পেলেন শেখ হাসিনা

লেখক:
প্রকাশ: ৬ years ago

এবার ‘কওমি জননী’ উপাধি পেলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার ঢাকায় শুকরানা মাহফিলে কওমি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড গওহরডাঙ্গার চেয়ারম্যান ও গোপালগঞ্জের গওহরডাঙ্গা মাদরাসার মহাপরিচালক মুফতি রুহুল আমীন তাকে এই উপাধি দেন।

মুফতি রুহুল আমীন বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকন্যা আপনি স্বীকৃতি দিয়েছেন, সবকিছু উপেক্ষা করে। অনেক বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েছেন, তার জবাব দিয়েছেন। ১৪ লাখ শিক্ষার্থীর জননীর ভূমিকা আপনি (শেখ হাসিনা) পালন করেছেন। আজ কওমি মহাসমুদ্রে আমি ঘোষণা করতে চাই, আপনি কওমি জননী। আজ থেকে আপনাকে এ উপাধি দিলাম। আপনার মাতৃত্বের ভূমিকা না থাকলে দেশবিরোধী, সাহাবাদের শত্রু, জামায়াত-মওদুদীবাদীরা এ দেশে (স্বীকৃতি) তা হতে দিত না।’

আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামি’আতিল কওমিয়া বাংলাদেশ- এর উদ্যোগে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এই শুকরানা মাহফিলে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মাহফিলে আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক শেখ আবদুল্লাহ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী কওমি জননী হলে আপনারা কী? সন্তান। আপনারা সন্তান হলে সন্তানের প্রতি পিতা-মাতার যেমন দায়িত্ব আছে, তেমনি জননীর প্রতিও সন্তানদের দায়িত্ব রয়েছে। আপনাদের সহযোগিতা চাই।’

রোববার সকাল ১০টা ৪৮ মিনিটে পবিত্র কোরআন তিলাওয়াতের মধ্য দিয়ে মাহফিলের সূচনা হয়। এতে উদ্বোধনী বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মিয়া মো. জয়নুল আবেদীন। স্বাগত বক্তব্য দেন আয়োজক সংগঠনের মহাসচিব আল্লামা আবদুল কুদ্দুস।

আল্লামা আহমদ শফীর সভাপতিত্বে মাহফিলে বক্তব্য দেন আল্লামা আশরাফ আলী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক শেখ আবদুল্লাহ, মাওলানা মাজহার আলী, মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ, মাওলানা রুহুল আমীন, মাওলানা আবদুল লতিফ, মাওলানা নুরুল ইসলাম প্রমুখ।

মাহফিলে সাধারণ শিক্ষার মতোই স্বীকৃতিপ্রাপ্ত কওমি শিক্ষার্থীদের দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। বক্তৃতা শুরু করেই মাদরাসা শিক্ষার উন্নয়ন ও আলেম-ওলামাদের জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিভিন্ন কার্যক্রমের কথা তুলে ধরে ইসলামিক ফাউন্ডেশন, টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমার জায়গা প্রদানসহ বিভিন্ন অবদানের কথা তুলে ধরেন শেখ হাসিনা। তার বক্তব্য শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্রেস্ট উপহার দেয়া হয়।