ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের দল গড়তে ভীষণ বেগ পেতে হয়েছে, মিরপুর টেস্টে সহাস্যে সাংবাদিকদের এটাই বললেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান। দল গড়া কঠিন হতে পারে দুটি কারণে, বেশির ভাগ খেলোয়াড়ের পারফরম্যান্স যদি বাজে হয় কিংবা সবাই যদি দুর্দান্ত খেলেন। বিসিবি সভাপতি দ্বিতীয় কারণটিই ইঙ্গিত করেছেন, ‘ওয়ানডেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ বেশি শক্তিশালী। সব সংস্করণেই ওরা আমাদের চেয়ে শক্তিশালী দল। তবে ওয়ানডের রেকর্ডটা আমাদের পক্ষে আছে। সে দিক দিয়ে চিন্তা করলে, যেভাবে দল খেলছে, তাতে আশা করা যায় যে, ওয়ানডেতেও ভালো করব। আজ আমরা ১৮ জনের একটা দল তৈরি করেছি, সেখান থেকে এক ঘণ্টায়ও একাদশ তৈরি করতে পারছিলাম না; কাকে বাদ দেব! এটা একটা মধুর সমস্যা। অনেক খেলোয়াড় আছে যারা যোগ্য, কিন্তু সবাইকে সুযোগ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। মনে হয় আমরা একটা ভালো জায়গায় আছি।’
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে স্কোয়াড থেকে বাদ পড়েছেন শুধু ফজলে রাব্বি ও নাজমুল হোসেন শান্ত। নতুন করে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন সাকিব-তামিম। রাজনীতিতে নাম লেখানো মাশরাফি যে সিরিজ খেলে নির্বাচনী প্রচারণায় নামবেন, সেটি যেন বিসিবি আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়ে দিল এই দল দিয়ে।
টেস্টেই যেখানে ওয়েস্ট ইন্ডিজ পাত্তা পায়নি, ওয়ানডে সিরিজটা কি একপেশে হবে? বিসিবি সভাপতি নাজমুল আত্মবিশ্বাসী, ‘ওয়ানডেতে একপেশে হবে কি না, তা বলা কঠিন। তখন উইকেট অন্য রকম হবে। আরও স্পোর্টিং হবে। আমার মনে হয় দল যে ছন্দে আছে, তাতে হারার কোনো কারণ দেখি না। ক্রিকেট অনিশ্চয়তার খেলা। আর ওয়েস্ট ইন্ডিজেরও ঘুরে দাঁড়ানোর সামর্থ্য আছে।’
তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটি ৯ ডিসেম্বর, মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে। একই মাঠে পরেরটি ১১ ডিসেম্বর। সিরিজের শেষ ম্যাচটি ১৪ ডিসেম্বর, সিলেটে।
বাংলাদেশ দল:
মাশরাফি বিন মুর্তজা (অধিনায়ক), সাকিব আল হাসান (সহ অধিনায়ক), তামিম ইকবাল, ইমরুল কায়েস, সৌম্য সরকার, লিটন দাস, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ, রুবেল হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান, মেহেদী হাসান মিরাজ, নাজমুল ইসলাম অপু, মো. মিঠুন, সাইফউদ্দিন, আবু হায়দার রনি ও আরিফুল হক।