এবি ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যানসহ তিনজন রিমান্ডে

লেখক:
প্রকাশ: ৭ years ago
এবি ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান এম ওয়াহিদুল হক। ছবি : সংগৃহীত

এবি ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান এম ওয়াহিদুল হকসহ তিনজনের তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।  অন্য দুজন হলেন ব্যাংকটির ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশন অ্যান্ড ট্রেজারি শাখার প্রধান আবু হেনা মোস্তফা কামাল ও  ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম।

আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর হাকিম আবু সাঈদ এ আদেশ দেন। তদন্ত কর্মকর্তা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান আদালতে আসামিদের হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেছিলেন। আইনজীবী প্রশান্ত কুমার কর্মকর্তা এ বিষয়ে জানিয়েছেন।

প্রায় ১৬৫ কোটি টাকা দুবাইয়ে পাচার ও আত্মসাতের অভিযোগে আজ এবি ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান এম ওয়াহিদুল হকসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে দুদক। বিকেলে গুলশান আনোয়ার প্রধান রাজধানীর মৎস্য ভবন এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করেন।

দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য জানান, এ ঘটনায় তিনজনসহ আটজনের বিরুদ্ধে রাজধানীর মতিঝিল থানায় একটি মামলা করা হয়েছে।

দুদক সূত্র জানায়, সিঙ্গাপুর ও দুবাইভিত্তিক কোম্পানি পিনাকল গ্লোবাল ফান্ডের (পিজিএফ) সঙ্গে মিলে বিনিয়োগের নামে অভিযুক্তরা চট্টগ্রামের ইপিজেড এবি ব্যাংকের অফশোর ব্যাংকিং ইউনিট (ওবিইউ) শাখা থেকে দুবাইয়ে ১৬৫ কোটি টাকা পাচার করেন। বিনিয়োগের নামে অর্থ আত্মসাতের পেছনে সাইফুল ও তাঁর বন্ধু দুবাইয়ের নাগরিক খুররম আবদুল্লাহর ভূমিকা ছিল বলে দুদক কর্মকর্তারা ধারণা করছেন। সাইফুল হক স্কাই এভিয়েশন সার্ভিসেস লিমিটেড নামে আরেকটি কোম্পানির পরিচালক। তাঁর ওই কোম্পানি বাংলাদেশে ফ্লাই দুবাইয়ের এজেন্ট।

এর আগে ওয়াহিদুল হক, ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশন অ্যান্ড ট্রেজারি শাখার প্রধান আবু হেনা এবং ব্যবসায়ী সাইফুল হকসহ মোট ১৬ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক।

২০১৪ সালে এবি ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি না নিয়েই ২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (১৬৫ কোটি টাকা) মধ্যপ্রাচ্যের একটি ব্যাংক হিসেবে পাঠায়। এই অর্থ পাচারের পেছনে ব্যবসায়ী সাইফুল ও তাঁর সহযোগী সংযুক্ত আরব আমিরাতের নাগরিক খুররম আব্দুল্লাহ রয়েছেন বলে দুদক সূত্রে জানা যায়।