করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির ক্রমোন্নতি এবং স্কুল-কলেজ চালু হওয়ায় শিক্ষার্থীদের অন্তর্ভুক্ত করে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উৎসব উদযাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে যথাযথ মর্যাদায় মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের লক্ষ্যে গঠিত মন্ত্রিসভা কমিটির ষষ্ঠ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও কমিটির সভাপতি আ ক ম মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে সভা অনুষ্ঠিত হয়। পরে মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সভায় স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের অনুমোদিত পরিকল্পনার আলোকে বছরব্যাপী নানা আয়োজন বাস্তবায়ন বিষয়ে আলোচনা হয়। অনুষ্ঠান আয়োজনে সরাসরি ও ভার্চুয়াল উভয় প্লাটফর্ম ব্যবহারের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর উৎসব তৃণমূল পর্যন্ত উদযাপন করা হবে। সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে উদযাপনের অংশীদার করা হবে। এজন্য স্বাধীনতার ৫০ বছরে ৫০টি কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে মেলা, মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ, বিভিন্ন প্রতিযোগিতা আয়োজন, গ্রন্থ প্রকাশ, মুক্তিযুদ্ধ অলিম্পিয়াড, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, গ্লোবাল সামিট ও সেমিনার।
সভাকক্ষে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব খাজা মিয়া, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক লেখক ও গবেষক কাজী সাজ্জাদ আলী জহির (বীর প্রতীক) এবং এডিটরস গিল্ডের সভাপতি মোজাম্মেল বাবু উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া ভার্চুয়ালি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আখতার হোসেন, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মকবুল হোসেন, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার সচিব মো. কামাল হোসেন, কবি ও লেখক তারিক সুজাত ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব সুভাষ সিংহ রায়সহ কমিটির অন্য সদস্যরা যুক্ত ছিলেন।