এতিমদের ফোন পেয়ে খাবার নিয়ে হাজির বরিশালের বাকেরগঞ্জের ইউএনও মাধবী রায়

লেখক:
প্রকাশ: ৫ years ago

কারো বাবা নেই। কারো মা নেই। করো বাবা-মা দুজনেই এই পৃথিবীতে বেঁচে নেই। এমন আটজন এতিমের ঠাঁই মেলেছে দুধলমৌ মোহাম্মদিয়া হাফিজিয়া ও নূরানী মাদরাসা এতিমখানায়। দানের টাকায় চলছিল বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার ভরপাশা ইউনিয়নের দুধলমৌর এতিমখানাটির খাবার। দান আছে তো খাবার আছে, দান না পেলে এতিমদের অভুক্ত থাকতে হয়।

করোনার প্রভাবে লকডাউনের কারণে এতিমখানায় খাবার সংকট দেখা দেয়। এতিমদের ফোন পেয়ে খাবার নিয়ে সেই মাদরাসার উপস্থিত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাধবী রায়। তাদের প্রত্যেককে হাতে ১০ কেজি করে চাল তুলে দেওয়া হয়। ভরপাশা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান খান এতিমদের মাঝে ডাল, আলু, পেঁয়াজ, তেল তুলে দেন। এ সময় উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

মাদরাসার হাফেজ নেছার উদ্দিন জানান, মাদ্রাসায় হাফেজি ও নূরানি শাখার দেড় শ ছাত্র অধ্যায়নরত। এদের মধ্যে ১১ জন এতিম। চলতি বছরের ১৭ মার্চ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণার পর আটজন এতিম ছাড়া অপর ছাত্ররা যে যার বাড়িতে চলে গেছে। দুই শিক্ষার্থী রয়েছে, যারা তাদের বাবা-মার পরিচয় জানেন না। ওই দুজনসহ আট এতিমের যাবার কোনো জায়গা না থাকায় তারা মাদরাসায় অবস্থান করছে। ইউএনও স্যার ও চেয়ারম্যান সাহেব ছাত্রদের খাবারের ব্যবস্থা করেছেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাধবী রায় কালের কণ্ঠকে বলেন, সাধারণত দানের ওপর ভিত্তি করেই এতিমখানাগুলো চলে। ওই এতিমখানা থেকে ফোন করে খাবার সংকটের কথা বলেছিল। সে অনুযায়ী আমি জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে পরের দিন এতিমখানায় গিয়ে ঘটনার সত্যতা পেয়ে তাদের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করি।