এক ট্রলারেই ধরা পড়ল ১১৭ মণ ইলিশ

লেখক:
প্রকাশ: ৩ years ago

নোয়াখালীর হাতিয়ার মেঘনা নদী সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে এক ট্রলারেই ধরা পড়েছে ১১৭ মণ ইলিশ। পরে মাছগুলো নিলামে ১৪ লাখ ৫৬ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে।

শুক্রবার (৪ নভেম্বর) সকালে হাতিয়ার চেয়ারম্যান ঘাটের মেঘনা ফিশিংয়ে এসব ইলিশ বিক্রি করা হয়। এর আগে, বৃহস্পতিবার রাতে ইলিশ নিয়ে ঘাটে ফিরে এফবি রায়হান নামের ট্রলারটি।

মেঘনা ফিশিংয়ের ম্যানেজার মো. হাবিব ভূঁইয়া বলেন, ‘এফবি রায়হান বোটের মালিকের বাড়ি ভোলা জেলায়। তিনি মুঠোফোনে মাছ পাওয়ার খবর জানালে চেয়ারম্যান ঘাটে নিয়ে আসতে বলি। পরে ওজন দিয়ে দেখি ১১৭ মণ ইলিশ। যা নিলামে ১৪ লাখ ৫৬ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে।’

এফবি রায়হান ট্রলারের সারেং সফিক মাঝি বলেন, ‘গভীর সমুদ্রে গিয়েছিলাম মাছ ধরতে। আমরা মোবাইলে যোগাযোগ করে মেঘনা ফিশিংয়ে মাছ বিক্রির সিদ্ধান্ত নেই। ইলিশগুলো আকারে বড় ছিল, দামও পেয়েছি।’

চেয়ারম্যান ঘাটে কাজ করা রাকিব নামের এক শ্রমিক বলেন, ‘এতদিন নিষেধাজ্ঞা ছিল, তাই সমুদ্রে মাছ ধরতে যেতে পারেনি জেলেরা। আমাদেরও কাজ ছিল না। আমরা এখানে ৬৫ জন লোক আছি, মাছ টানার কাজ করি। এখন মাছ পাওয়া যাচ্ছে। তাই আয়ও ভালো হচ্ছে।’

হাতিয়া মৎস্য সমিতির সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল বলেন, ‘সরকারি নিষেধাজ্ঞা শেষে অনেক মাছ ধরা পড়ছে। আগে, এই উপকূলে মাছ শিকারে গেলে ডাকাতের কবলে পড়তে হতো। তবে বর্তমানে ডাকাত নেই। জেলেরা নির্বিঘ্নে মাছ ধরতে পারছে।’

হাতিয়া মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. আখতার হোসেন বলেন, ‘আজ ১১৭ মণ ইলিশ বিক্রি হলো। এর আগে, ১১০ মণ, ১০২ মণ ইলিশ পেয়েছে জেলেরা। প্রতিনিয়ত সমুদ্রে যাওয়া বোটগুলো ঘাটে আসছে। নিষেধাজ্ঞার পর একসঙ্গে এত মাছ পেয়ে জেলেরা যেমন খুশি, ব্যবসায়ীরাও খুশি।’

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন বলেন, ‘সরকারি বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা মেনে চলায় জেলেরা উপকৃত হচ্ছেন। নিষেধাজ্ঞার কারণে নদী ও সাগরে বিভিন্ন প্রজাতির মাছের বংশ বিস্তার বেড়েছে।’

ক্যাম্পাসজাতীয়প্রচ্ছদ এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় বর্তমান সরকার বদ্ধ পরিকর। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে প্রথমেই স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা করেন।তিনি বলেন, বর্তমান সরকার প্রতিটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রয়োজনীয় সামগ্রী প্রদানের জন্য বৃহৎ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এজন্য চাই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা। স্বাস্থ্য খাতে কোনো প্রকার অনিয়ম দুর্নীতি সহ্য করা হবে না। এ লক্ষ্যে কমিটির সকলকে সচেষ্ট থাকতে হবে।শনিবার পিরোজপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় তিনি এসব কথা বলেন।সভায় পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক আবু আলী মো. সাজ্জাদ হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোল্লা আজাদ, সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ মো. শাহ আলম, পিরোজপুরের সিভিল সার্জন ডা. মো. ফারুক আলম, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হক, ইউএনও সরকার আব্দুল্লাহ আল মামুন বাবু, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তানভীর সিকদার, ওসি মো. কামরুজ্জামান তালুকদার প্রমুখ বক্তব্য দেন।এর আগে মন্ত্রী স্বরূপকাঠি পৌর গোরস্থান ও শ্মশান ঘাটের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন শেষে পৌরসভার মেয়র মো. গোলাম কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সুধী সমাবেশে যোগ দেন।সেখানে তিনি বলেন, বর্তমান সরকার অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট হয় এমন কোন কাজ না করার জন্য তিনি সকলের প্রতি আহ্বান জানান।পরে মন্ত্রী জাতীয় সমবায় দিবসের র‌্যালিতে অংশ গ্রহণ করেন। সব শেষে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সকল সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণ করেন।গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, ‘দলে থাকবেন আর দলের সিদ্ধান্ত বিরোধী কাজ করবেন, তা হবে না। অনুপ্রবেশকারীকে দলে স্থান দেওয়া হবে না। শেখ হাসিনা রাত-দিন পরিশ্রম করে দেশের উন্নয়ন করে চলছেন। এ ধারা অব্যহত রাখতে আওয়ামী লীগের সকল নেতাকর্মীকে ঐক্যবদ্ধ থেকে কাজ করতে হবে।’
৬ years ago