মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেছেন, ইরানের পরমাণু কর্মসূচি প্রশ্নে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা নিয়ে তেহরান ও ওয়াশিংটনের মধ্যে সৃষ্ট উত্তেজনা নিরসনে তিনি ‘খুশি মনে’ উপসাগরীয় এ দেশে যাবেন। খবর এএফপি’র।
ব্লুমবার্গকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে বৃহস্পতিবার পম্পেও বলেন, তিনি যুক্তরাষ্ট্রের এ নিষেধাজ্ঞা আরোপের পেছনের কারণ ব্যাখ্যা করতে স্বেচ্ছায় ইরানের টেলিভিশনে হাজির হবেন।
তিনি বলেন, ‘এ ব্যাপারে ইরানের জনগণকে সরাসরিভাবে কিছু বলতে দেয়ার সুযোগকে আমি স্বাগত জানাবো। এ ব্যাপারে আমি তাদেরকে বলতে চাই এমন উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি তাদের নেতা সৃষ্টি করেছে। আর তা ইরানের জন্য কতটা ক্ষতিকর।’
ইরানের পরমাণু কর্মসূচির লাগাম টেনে ধরার কথা বলেই ২০১৫ সালে তেহরানের সাথে করা পরমাণু চুক্তি থেকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত বছর বেরিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেয়ার পর থেকে ইরান ও ওয়াশিংটনের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়। যুক্তরাষ্ট্র এ চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর ইরানের ওপর নতুন করে বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।
যুক্তরাষ্ট্র গত সপ্তাহে ইরানের সম্ভবত দু’টি ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করার কথা জানায়। তবে এক্ষেত্রে তারা একটি ড্রোন ভূপাতিত করার কথা নিশ্চিত করেছে। তারা কৌশলগত দিক থেকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ উপসাগরীয় জলসীমায় বিভিন্ন ট্যাঙ্কারে ধারাবাহিক হামলার জন্য ইরানকে দায়ী করে।
এদিকে, তেহরান জুন মাসে যুক্তরাষ্ট্রের একটি ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করে। ইরানের আকাশসীমা লঙ্ঘন করায় ড্রোনটি ভূপাতিত করা হয় বলে তারা জানায়। এমন উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতিতে ট্রাম্প ইরানের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত বিমান হামলা চালানোর নির্দেশ দিলেও অনেক প্রাণহানির কথা বিবেচনা করে একেবারে শেষ মূহূর্তে তিনি তা বাতিল করেন।