সড়ক নিরাপদ রাখতে চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন বলে প্রশংসা করেছেন আদালত। রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে বাসচাপায় শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় করা মামলার রায়ের পর্যবেক্ষণে রোববার (১ ডিসেম্বর) এ কথা বলা হয়েছে।
রায়ের পর্যবেক্ষণে আরও বলা হয়েছে, এই আন্দোলনের মাধ্যমে সমাজে একজন আইকনে পরিণত হয়েছেন ইলিয়াস কাঞ্চন। তার মতো আমাদেরও নিরাপদ সড়কের জন্য নিজ নিজ জায়গা থেকে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে হবে। এছাড়া সড়ক নিরাপদ করতে গণমাধ্যম, পরিবহন মালিক, শ্রমিক ও রাস্তায় দায়িত্বরত ট্রাফিক বিভাগকে নিজ নিজ জায়গা থেকে দায়িত্বশীল আচরণের আহ্বানও জানান বিচারক।
সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে পর্যবেক্ষণে বিচারক বলেন, সংবাদ এমনভাবে প্রচার করবেন না যাতে ছাত্রসমাজ বা সাধারণ মানুষের মনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয় বা মানুষ সংক্ষুব্ধ না হয়। এ মামলায় দণ্ডবিধির ৩০৪ ধারায় আসামিদের দণ্ড দেয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে এই ধারার সর্বোচ্চ শাস্তিই যে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড সেটি আগে উল্লেখ করার অনুরোধ করছি। এ ধারায় এর চেয়ে বেশি দণ্ড দেয়ার সুযোগ ছিল না।
এর আগে রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে জাবালে নূর পরিবহনের বাসচাপায় শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের শিক্ষার্থী দিয়া-রাজীবের মৃত্যুর ঘটনায় দুই বাসের চালকসহ তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত। অন্যদিকে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় জাবালে নূর পরিবহনের মালিক জাহাঙ্গীর আলম ও বাসচালকের সহকারী এনায়েত হোসেনকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে।
রোববার বিকেলে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ছয় মাসের করে কারাদণ্ড দেয়া হয়।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- জাবালে নূর পরিবহনের দুই চালক মাসুম বিল্লাহ ও জুবায়ের সুমন এবং এক বাসের সহকারী কাজী আসাদ। এর মধ্যে কাজী আসাদ পলাতক থাকলেও বাকি দুজন কারাগারে রয়েছেন।