ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) কুদস ফোর্সের প্রধান মেজর জেনারেল কাসেম সোলাইমানিকে হত্যার ষড়যন্ত্র নস্যাতের দাবি করা হয়েছে। ইসরায়েল এবং আরব গুপ্তচররা এই ষড়যন্ত্র করেছিল বলে আইআরজিসি’র গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান হোসেইন তায়েব জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার তেহরানে আইআরজিসির কমান্ডারদের এক সমাবেশে এসব তথ্য জানান তিনি। গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান হোসেইন তায়েব বলেন, গত মাসে দক্ষিণ ইরানের কেরমান প্রদেশে ইমাম হোসেনের (আ.) মৃত্যু বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে তাকে হত্যার ষড়যন্ত্র হয়েছিল। কিন্তু এর আগেই ষড়যন্ত্রকারীদের আটক করা সম্ভব হয়।
তিনি বলেন, হিব্রু-আরব ইনটেলিজেন্স সার্ভিসের সদস্যরা চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ইরানে প্রবেশ করে। তারা কেরমান প্রদেশে জেনারেল সোলাইমানির মৃত বাবার হোসাইনিয়া বা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের পাশেই একটি জমি কিনে সেখানে থেকে সুড়ঙ্গ তৈরি করতে চেয়েছিল। পরে ওই সুড়ঙ্গ দিয়ে তারা ৩৫০ কেজি থেকে ৫০০ কেজি বিস্ফোরক হোসাইনিয়ার নিচে নিয়ে যেতে চেয়েছিল।
তারা ভেবেছিল প্রতি বছরের মতো এবারও যখন জেনারেল সোলাইমানি ইমাম হোসেনের (আ.) শাহাদাৎবার্ষিকী উপলক্ষে তাসুয়া ও আশুরার অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন; তখন তারা বিস্ফোরণ ঘটাবে। কিন্তু এর আগেই ইরানের গোয়েন্দারা বিষয়টি বুঝতে সক্ষম হন এবং তারা আইআরজিসির প্রধানের নির্দেশে ইসরায়েলি ও আরব গুপ্তচর নেটওয়ার্কের তিন সদস্যকে আটক করেন। আটক ব্যক্তিদের ওপর অনেক দিন ধরেই আইআরজিসি নজর রেখেছিল বলে পার্সট্যুডের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
আইআরজিসির গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান আরও বলেছেন, এসব সন্ত্রাসী প্রতিবেশী দেশগুলোতে ব্যয়বহুল প্রশিক্ষণের জন্য গিয়েছিল এবং তখন থেকেই আইআরজিসি তাদের ওপর নজর রেখেছিল।
জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসবিরোধী অভিযানে সাফল্যসহ বিভিন্ন অঙ্গনে বীরত্বপূর্ণ ভূমিকার জন্য কাসেম সোলাইমানি সম্প্রতি বিশ্বের এক নম্বর জেনারেল হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন।