টঙ্গীতে জামালপুর কমিউটার ট্রেনের দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে সোমবার থেকে তদন্ত শুরু হয়েছে। সংকেতের (সিগন্যালিংয়ের) ত্রুটিতে দুর্ঘটনা ঘটে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন কমিটির সদস্যরা।
গত রোববার টঙ্গী স্টেশন ছেড়ে যাওয়ার পর ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়ে পাঁচজনের মৃত্যু হয়। আহত হন ৩২ জন। কী কারণে ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়েছে, তা খতিয়ে দেখছে তদন্ত কমিটি।
তাদের মতে, ট্রেন পরিচালনায় মানবিক ভুল (হিউম্যান এরর) এড়াতে কার্যকর ইন্টারলিংক সিস্টেম রয়েছে। পয়েন্ট এবং সিগন্যালের মধ্যে এটি সমন্বয় করে থাকে। রোববারের দুর্ঘটনার সময় ইন্টারলিংক পুরোপুরি কাজ করেনি। ট্রেনের এক লাইন থেকে অন্য লাইনে যেতে পয়েন্ট ব্যবহৃত হয়। কী কারণে তা কাজ করেনি, খতিয়ে দেখছে কমিটি।
রেলের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ট্রেনটি লাইনচ্যুত হলেও বগির ভেতরে থাকা যাত্রীদের কেউ হতাহত হননি। হতাহত সবাই ট্রেনের ছাদের যাত্রী। লাইনচ্যুত ট্রেনের ছাদ থেকে তারা লাফিয়ে পড়েছিলেন। রেলের প্রধান প্রকৌশলী (পূর্বাঞ্চল) মো. আরিফুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের কমিটির বুধবার প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা রয়েছে।
সোমবার বিকেলে দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন রেল সচিব মোফাজ্জেল হোসেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) মো. মিয়া জাহানসহ রেলের অন্যান্য কর্মকর্তা।