ইউরোপে ব্যাপক হারে বর্ণবাদ বাড়ছে

লেখক:
প্রকাশ: ২ years ago

ইউরোপে ‘ব্যাপক হারে ও অবিচ্ছিন্নভাবে’ বর্ণবাদ বাড়ছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন সদস্য দেশগুলোতে বৈষম্যের শিকার প্রায় অর্ধেক কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তির ওপর চালিয়ে যে প্রতিবেদন তৈরি করেছে তাতে বলা হয়েছে, এই কৃষ্ণাঙ্গদের বাড়িভাড়া দিতে অনিচ্ছুক বাড়ির মালিকরা। এমনকি তাদের সন্তানরাও মৌখিক নির্যাতনের শিকার।

 

আফ্রিকা বংশোদ্ভূত মানুষের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের অধিকার সংস্থার একটি জরিপে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে, স্কুল থেকে চাকরির বাজার, আবাসন ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থায়  উচ্চ স্তরের বৈষম্য পাওয়া গেছে। এই বৈষম্যের  কিছু খারাপ ফলাফল অস্ট্রিয়া ও জার্মানিতে রেকর্ড করা হয়েছে।

অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম, ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি, আয়ারল্যান্ড, ইতালি, লুক্সেমবার্গ, পোল্যান্ড, পর্তুগাল, স্পেন ও  সুইডেনে আফ্রিকা বংশোদ্ভূত ছয় হাজার ৭৫২ জন লোকের জরিপে দেখা গেছে ৪৫ শতাংশ জাতিগত বৈষম্যের শিকার হয়েছেন। ২০১৬ সালের তুলনায় এই হার ৬ শতাংশ বেড়েছে।

 

অস্ট্রিয়া ও জার্মানিতে প্রশ্ন করা চারজনের মধ্যে তিনজন (৭২ শতাংশ ও ৭৬ শতাংশ) জানিয়েছেন, তারা গত পাঁচ বছরে বৈষম্যের শিকার হয়েছেন। ২০১৬ সালে যখন একই প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল তখন এই সংখ্যা ছিল ৫১ শতাংশ এবং ৫২ শতাংশ।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের মৌলিক অধিকার বিষয়ক সংস্থা জানিয়েছে, জরিপে অংশ নেওয়া প্রতি চারজনের মধ্যে একজন (২৩ শতাংশ) উত্তরদাতা জানিয়েছেন, স্থানীয় বাড়ির মালিক জাতিগত বা জাতিগত উৎসের কারণে তাদের বাড়ি ভাড়া নিতে বাধা দিয়েছেন। এক চতুর্থাংশ (২৩ শতাংশ) কৃষ্ণাঙ্গ জানিয়েছেন, তাদের জাতিগত বা অভিবাসী পটভূমির কারণে ব্যক্তিগতভাবে তাদের সন্তানের প্রতি আপত্তিকর বা হুমকিমূলক মন্তব্য পেয়েছেন। আয়ারল্যান্ড (৩৯ শতাংশ), জার্মানি ও ফিনল্যান্ড (উভয় ৩৮ শতাংশ) এবং অস্ট্রিয়ার (৩৭ শতাংশ) পাঁচজন অভিভাবকের মধ্যে প্রায় দুইজন এই ধরনের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন।

প্রচ্ছদবরিশাল এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
কমলাপুর রেলস্টেশনের ঘাস নিয়ে লাইভ করার পর এবার ট্রেনে ওঠার সময় নারী ও বৃদ্ধাদের ঝুঁকি নিয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ফের ফেসবুক লাইভ করলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন। বৃদ্ধ মা-বাবা, স্ত্রী ও বাচ্চাদের নিয়ে যারা রেলে চলাফেরা করেন তাদের প্রতি কি একটু সহায় হবেন- এমন আহ্বান জানান তিনি। তিনি প্রশ্ন তোলেন, কেউ যদি বউ-বাচ্চা, বৃদ্ধা মা-বাবাকে নিয়ে ট্রেনে উঠতে চান তা হলে বউ থাকবে কই আর মা-বাবা থাকবে কই। শুক্রবার (৫ জুলাই) রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে ফেসবুকে লাইভে এসে এসব কথা বলেন ব্যারিস্টার সুমন। লাইভে এসে প্ল্যাটফর্ম থেকে ট্রেনে ওঠার সিঁড়ির দূরত্ব দেখিয়ে সুমন বলেন, ‘এই ট্রেনটাকে মিটার গেজ (পরে সংশোধন করে বলেন ব্রডগেজ) বলা হয়। আমার প্রশ্ন হলো-প্ল্যাটফ্রম থেকে দূরত্ব বা উচ্চতা কত? ব্রিটিশ আমলের ট্রেনগুলো ছিল এমন। আপনারা (রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ) নতুন ট্রেন আনলেন কিন্তু প্ল্যাটফর্ম এখনো পুরনো।’ রেলওয়ে স্টেশনে উপস্থিত লোকদের দেখিয়ে তিনি বলেন, ‘দেখেন সবাই, প্ল্যাটফর্ম থেকে ট্রেনের উচ্চতা দোতলার সমান। কোনো স্টেশনে ট্রেনটি তিন মিনিট থামে। তিন মিনিটে ৫০ জন মানুষ প্রায় দুই তলার সমান উচ্চতায় ওঠা কি সম্ভব?’ রেলমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘রেলমন্ত্রী, ট্রেন আপনি অনেক উঁচু বানিয়ে দিছেন। আর প্ল্যাটফর্ম এখানে বিট্রিশ আমলের। আমি কমলাপুর সেন্ট্রাল স্টেশন থেকে বলছি। আর গ্রামের স্টেশনগুলোর অবস্থা তো আরও খারাপ। সেখানে ট্রেনে উঠতে তো রীতিমতো যুদ্ধ করতে হয়। বউ বাচ্চা নিয়ে ওঠা একটা বে-ইজ্জতের কারবার।’ তিনি আরও বলেন, ‘দুনিয়া এগোচ্ছে, সব কিছু এগোচ্ছে। রাতারাতি পরিবর্তন করতে পারবেন না। তবে ব্রেইনে আনেন পরিবর্তন করার। আপনারা বউ-বাচ্চা লইয়া ট্রেনে যাতায়াত করবেন কি-না জানি না। তবে, এই প্ল্যাটফর্ম ট্রেনের সমান করতে কোটি কোটি টাকার দরকার পড়বে না। আশা করি রেলমন্ত্রীসহ সকলেই এর প্রতি সদয় হবেন।’ এর আগে (৩০ মে) ব্যারিস্টার সুমন স্টেশনের সামনে রেললাইনের ওপর বেড়ে ওঠা ঘাস কেটে পরিচ্ছন্ন করার অনুরোধ জানিয়ে তার নিজের ফেসবুক পেজে লাইভ দেন। এর পরদিনই (শুক্রবার) সেসব ঘাস কেটে পরিষ্কার করে ফেলে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। পরিবারকে গ্রামের বাড়িতে পাঠানোর জন্য ট্রেনে তুলে দিতে কমলাপুর রেলস্টেশনে গিয়ে ফেসবুক লাইভে আসেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। সেখানে তিনি দেখেন, রেললাইনের ওপর বড় বড় ঘাস জন্মেছে। যা কাটার জন্য কারো সময় নেই। ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘রেলের সময় নিয়ে আমার কোনো অভিযোগ নেই। মোটামুটি ভালোই চলতেছে। এজন্য রেল কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাই।’ ওই লাইভে তিনি আরও বলেন, এটা দেশের সবচেয়ে বড় রেলস্টেশন। এটা কেন্দ্রীয় রেল স্টেশন। এ সময় তিনি এক হাত লম্বা লম্বা ঘাস দেখিয়ে বলেন, ‘কিছু লোক লাগিয়ে ঘাসগুলো পরিষ্কার করলে স্টেশনটা অনেক সুন্দর হয়ে যেত।’
৬ years ago