আলেমরা ভালো কর্মকর্তা হলে ঘুষ না খাওয়ার আহ্বান শিক্ষামন্ত্রীর

লেখক:
প্রকাশ: ৭ years ago

শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, আলেম যদি ভালো কর্মকর্তা হন, তাহলে তিনি ঘুষ খাবেন না, দুর্নীতি করবেন না। যদি প্রকৌশলী হন, তাহলে রডের বদলে বাঁশের কঞ্চি দিবেন না।

তিনি বলেন, আলেমরা আদর্শ চিকিৎসক হলে, রোগীদের ঘটাবেন না। তাই একজন ভালো আলেম জেলা প্রশাসক, সচিব, মন্ত্রী হোক- সেভাবে মাদরাসা শিক্ষাকে আধুনিকায়নের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।

শুক্রবার সকালে রাজধানীর বছিলায় ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পাসে আয়োজিত ‘আরবি ভাষা ও ইসলামি জ্ঞান’ বিষয়ে জাতীয় প্রতিযোগিতা-২০১৭’র চূড়ান্ত পর্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, মানুষের কল্যাণে ইসলামী জ্ঞানের বিকাশ ঘটানোর লক্ষ্যে মাদরাসা শিক্ষাকে আধুনিকায়ন করা হচ্ছে। এরই চূড়ান্ত পর্যায়ে দেশের আলেম সমাজের দীর্ঘদিনের আন্দোলন ও দাবির প্রেক্ষিতে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার।

তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের আমলেই ৫২টি মাদরাসায় স্নাতক (সম্মান) কোর্স চালু করা হয়েছে। এক হাজার ৩৩৪টি মাদরাসা আধুনিক সুবিধা সম্বলিত ভবন নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে।

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আহসান উল্লাহ বলেন, ২০১৩ সালে মাদরাসা উচ্চশিক্ষা বিস্তারে এই বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করা হয়। এর মাধ্যমে মাদরাসা শিক্ষার গণজাগরণ হয়েছে।

ইসলামি ও আরবিতে উচ্চশিক্ষার পথ প্রসারিত হয়েছে।

মধ্যপ্রাচ্যের বিশাল শ্রমবাজারে টিকে থাকতে মাদরাসার শিক্ষার্থীদের আরবি ভাষার পারদর্শী হওয়ার অর্জনের আহ্বান জানিয়ে অধ্যাপক আহসান উল্লাহ বলেন, মাদরাসার আরবি ভাষার দক্ষতা ও ইসলামি জ্ঞান বৃদ্ধির লক্ষ্যে আরবি ভাষা ও ইসলামি জ্ঞান বিষয়ে প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। জাতীয় পর্যায়ের বিজয়ীদের মাঝে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুরস্কার বিতরণ করবেন।

তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ক্যাম্পাস নির্মাণ পরিকল্পনা একনেকে পাস হয়েছে। নিজস্ব ক্যাম্পাসে পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় অগ্রযাত্রায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান তিনি।

আজ আটটি বিভাগের সেরা ৮৪জন প্রতিযোগী আরবি ভাষা ও ইসলামি জ্ঞান বিষয়ে জাতীয় প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বে অংশ নেন। তাদের মধ্য থেকে দেশসেরা নির্বাচন করা হয়েছে। বিভাগীয় পর্যায়ের বিজয়ীদের থেকে জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ তিনজনকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুরস্কার তুলে দেবেন। প্রতিযোগিতায় সারাদেশ থেকে ফাজিল ও কামিল শ্রেণির এক হাজার ৫২৫জন শিক্ষার্থী অংশ নেন। সন্ধ্যায় মাদরাসা শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হওয়ার কথা রয়েছে।