আরও ৬৯৭০ কওমি মাদরাসায় সাড়ে ৮ কোটি টাকা দি‌লেন প্রধানমন্ত্রী

লেখক:
প্রকাশ: ৬ years ago

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেশের আরও ছয় হাজার ৯৭০টি কওমি মাদরাসায় আট কোটি ৬৩ লাখ ৪৫ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এই টাকা ইলেকট্রনিক তহবিল স্থানান্তর (ইএফটি) পদ্ধতির মাধ্যমে গত ১৭ মে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়েছে।

এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম জানান, ঢাকা বিভাগের দুই হাজার ২০২টি মাদরাসার জন্য দুই কোটি ৫৫ লাখ ৩০ হাজার টাকা, চট্টগ্রাম বিভাগের এক হাজার ২১১টি মাদরাসার জন্য এক কোটি ৭৭ লাখ ৬৫ হাজার টাকা এবং ময়মনসিংহ বিভাগের ৯৩৭টি মাদরাসার জন্য এক কোটি ৩১ লাখ টাকা দেয়া হয়েছে।

পাশাপাশি রংপুর বিভাগের ৮৩৯টি মাদরাসার জন্য ৯৪ লাখ ২৫ হাজার, রাজশাহী বিভাগের ৬৬২টি মাদরাসার জন্য ৭৪ লাখ ৪৫ হাজার, খুলনা বিভাগের ৪৩১টি মাদরাসার জন্য ৫৫ লাখ ৮০ হাজার, সিলেট বিভাগের ৪৮৬টি মাদরাসার জন্য ৪৮ লাখ ৬০ হাজার এবং বরিশাল বিভাগের ২০২টি মাদরাসার জন্য ২৬ লাখ ৩৫ হাজার টাকা দেয়া হয়।

প্রেস সচিব বলেন, মাদরাসার শিক্ষার্থীর সংখ্যা অনূর্ধ্ব ১০০ হলে ১০ হাজার টাকা, শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১০১ থেকে ২০০ এর মধ্যে হলে ১৫ হাজার টাকা এবং ২০১ এর অধিক হলে ২০ হাজার টাকা করে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

গত ১৪ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ৫০ লাখ পরিবারের মধ্যে এক হাজার ২৫০ কোটি টাকা ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফারের মাধ্যমে প্রদান করার সময় পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগেই দেশের সব মসজিদ এবং আরও প্রায় সাত হাজার মাদরাসায় আর্থিক সহায়তা দেয়ার ঘোষণা দেন।

তখন সরকারপ্রধান বলেন, সরকার পবিত্র রমজানের আগেই প্রথম ধাপে ছয় হাজার ৯৫৯টি কওমি মাদরাসায় সোয়া ৮ কোটি টাকা অর্থ সাহায্য প্রদান করেছে। দ্বিতীয় ধাপে ঈদুল ফিতরের আগে আমরা আরও প্রায় সাত হাজার মাদরাসায় অর্থ সাহায্য দিচ্ছি। কোনো শ্রেণির মানুষই যেন অবহেলিত না থাকে সেজন্যই আমরা এই পদক্ষেপ নিয়েছি ।

এদিকে দেশের কওমি মাদরাসার নেতারা করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে পবিত্র রমজান এবং ঈদুল ফিতর উপলক্ষে এই অনুদানের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানান এবং তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

আইন শৃংখলা বাহিনীজাতীয়প্রচ্ছদবরিশাল এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
কমলাপুর রেলস্টেশনের ঘাস নিয়ে লাইভ করার পর এবার ট্রেনে ওঠার সময় নারী ও বৃদ্ধাদের ঝুঁকি নিয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ফের ফেসবুক লাইভ করলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন। বৃদ্ধ মা-বাবা, স্ত্রী ও বাচ্চাদের নিয়ে যারা রেলে চলাফেরা করেন তাদের প্রতি কি একটু সহায় হবেন- এমন আহ্বান জানান তিনি। তিনি প্রশ্ন তোলেন, কেউ যদি বউ-বাচ্চা, বৃদ্ধা মা-বাবাকে নিয়ে ট্রেনে উঠতে চান তা হলে বউ থাকবে কই আর মা-বাবা থাকবে কই। শুক্রবার (৫ জুলাই) রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে ফেসবুকে লাইভে এসে এসব কথা বলেন ব্যারিস্টার সুমন। লাইভে এসে প্ল্যাটফর্ম থেকে ট্রেনে ওঠার সিঁড়ির দূরত্ব দেখিয়ে সুমন বলেন, ‘এই ট্রেনটাকে মিটার গেজ (পরে সংশোধন করে বলেন ব্রডগেজ) বলা হয়। আমার প্রশ্ন হলো-প্ল্যাটফ্রম থেকে দূরত্ব বা উচ্চতা কত? ব্রিটিশ আমলের ট্রেনগুলো ছিল এমন। আপনারা (রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ) নতুন ট্রেন আনলেন কিন্তু প্ল্যাটফর্ম এখনো পুরনো।’ রেলওয়ে স্টেশনে উপস্থিত লোকদের দেখিয়ে তিনি বলেন, ‘দেখেন সবাই, প্ল্যাটফর্ম থেকে ট্রেনের উচ্চতা দোতলার সমান। কোনো স্টেশনে ট্রেনটি তিন মিনিট থামে। তিন মিনিটে ৫০ জন মানুষ প্রায় দুই তলার সমান উচ্চতায় ওঠা কি সম্ভব?’ রেলমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘রেলমন্ত্রী, ট্রেন আপনি অনেক উঁচু বানিয়ে দিছেন। আর প্ল্যাটফর্ম এখানে বিট্রিশ আমলের। আমি কমলাপুর সেন্ট্রাল স্টেশন থেকে বলছি। আর গ্রামের স্টেশনগুলোর অবস্থা তো আরও খারাপ। সেখানে ট্রেনে উঠতে তো রীতিমতো যুদ্ধ করতে হয়। বউ বাচ্চা নিয়ে ওঠা একটা বে-ইজ্জতের কারবার।’ তিনি আরও বলেন, ‘দুনিয়া এগোচ্ছে, সব কিছু এগোচ্ছে। রাতারাতি পরিবর্তন করতে পারবেন না। তবে ব্রেইনে আনেন পরিবর্তন করার। আপনারা বউ-বাচ্চা লইয়া ট্রেনে যাতায়াত করবেন কি-না জানি না। তবে, এই প্ল্যাটফর্ম ট্রেনের সমান করতে কোটি কোটি টাকার দরকার পড়বে না। আশা করি রেলমন্ত্রীসহ সকলেই এর প্রতি সদয় হবেন।’ এর আগে (৩০ মে) ব্যারিস্টার সুমন স্টেশনের সামনে রেললাইনের ওপর বেড়ে ওঠা ঘাস কেটে পরিচ্ছন্ন করার অনুরোধ জানিয়ে তার নিজের ফেসবুক পেজে লাইভ দেন। এর পরদিনই (শুক্রবার) সেসব ঘাস কেটে পরিষ্কার করে ফেলে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। পরিবারকে গ্রামের বাড়িতে পাঠানোর জন্য ট্রেনে তুলে দিতে কমলাপুর রেলস্টেশনে গিয়ে ফেসবুক লাইভে আসেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। সেখানে তিনি দেখেন, রেললাইনের ওপর বড় বড় ঘাস জন্মেছে। যা কাটার জন্য কারো সময় নেই। ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘রেলের সময় নিয়ে আমার কোনো অভিযোগ নেই। মোটামুটি ভালোই চলতেছে। এজন্য রেল কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাই।’ ওই লাইভে তিনি আরও বলেন, এটা দেশের সবচেয়ে বড় রেলস্টেশন। এটা কেন্দ্রীয় রেল স্টেশন। এ সময় তিনি এক হাত লম্বা লম্বা ঘাস দেখিয়ে বলেন, ‘কিছু লোক লাগিয়ে ঘাসগুলো পরিষ্কার করলে স্টেশনটা অনেক সুন্দর হয়ে যেত।’
৬ years ago