বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, বর্তমান সরকারের দুই মেয়াদে এ পর্যন্ত মোট ৮ হাজার ৮১৯ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৮৮টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র বাণিজ্যিকভাবে চালু রয়েছে। এছাড়াও নতুন নতুন তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের লক্ষ্যে কাজ চলছে।
জাতীয় সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে রবিবারের বৈঠকে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এ তথ্য জানান। একইসঙ্গে তিনি জানান, রোহিঙ্গা উদ্বাস্তু অধ্যুষিত কক্সবাজার জেলায় বর্তমানে বিদ্যুতের কোনো ঘাটতি নেই।
সরকার দলীয় আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমের (মাদারীপুর-৩) প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, বর্তমানে মোট ১৩ হাজার ৮১৩ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৪৫টি তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণাধীন রয়েছে। এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো ২০১৮ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে পর্যায়ক্রমে চালু হবে।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, ‘আরো ৪ হাজার ১৮০ মেগাওয়াট ক্ষমতার ১৯টি তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের দরপত্র প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। যে বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো ২০১৮ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে পর্যায়ক্রমে চালু হবে।’ মোট ২০ হাজার ৫১৭ মেগাওয়াট ক্ষমতার ১৬টি তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ পরিকল্পনাধীন রয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
এর আগে সরকারি দলের মহিলা এমপি উম্মে রাজিয়া কাজলের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, গোপালগঞ্জ জেলায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মাধ্যমে ৪ হাজার ৭৩৫ কিলোমিটার বিতরণ লাইন নির্মাণের মাধ্যমে ৭৮৩টি গ্রাম পূর্ণাঙ্গভাবে এবং ৮৫টি গ্রাম আংশিকভাবে বিদ্যুতায়ন করা হয়েছে। জেলার ৯০৩ গ্রামের মধ্যে মাত্র ৩৫টি বিদ্যুৎবিহীন রয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া, কোটালিপাড়া ও সদর উপজেলায় ইতোমধ্যে শতভাগ বিদ্যুতায়ন সম্পন্ন হয়েছে। কাশিয়ানী মার্চে ও মুকসেদপুর উপজেলায় জুন নাগাদ শতভাগ বিদ্যুতায়ন সম্পন্ন হবে বলে আশাকরা যায়।
সংরক্ষিত মহিলা আসনের বিরোধী দলের সদস্য বেগম খোরশেদ আরা হকের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘কক্সবাজার জেলার পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (বাপবিবো) আওতাধীন এলাকায় বর্তমানে পিক ও অফপিক আওয়ারে বিদ্যুতের চাহিদা যথাক্রমে ৫৯ ও ৩৬ মেগাওয়াট। এর বিপরীতে সরবরাহে কোনো ঘাটতি নেই।’ এছাড়া জেলার বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডেও আওতাধীন এলাকায় চাহিদা অনুযায়ী ৭০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে।