 
                                            
                                                                                            
                                        
রাজধানীর বহুতল ভবনগুলোর ফায়ার সেফটি ও ভবন সেফটির কাগজপত্র প্রস্তুত রাখতে জনস্বার্থে নোটিস দেওয়া হবে বলে জানিয়েছন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম।
অগ্নিকাণ্ডের শিকার বনানীর এফ আর টাওয়ারে সামনে শুক্রবার সকালে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি। এসময় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করীমও উপস্থিত ছিলেন।
মেয়র আতিকুল বলেন, বহুতল ভবনগুলোর ফায়ার সেফটি ও ভবন সেফটির কাগজপত্র রেডি রাখতে জনস্বার্থে নোটিস দেওয়া হবে। প্রত্যেকটি বিল্ডিংয়ে যত ধরনের পারমিশন- সব কিছু আগামী ১০ দিনের মধ্যে আমাকে দিতে হবে।
তিনি বলেন, নোটিস দেওয়ার পর ম্যাজেস্ট্রিট পাঠাব। যদি দেখা যায় ফায়ার সেফটি নিয়ে তারা কাজ করেনি, অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে অ্যাকশন নেব। আমাদের এখন আর কথা বলার সময় নয়, অ্যাকশনের সময়। আমরা অ্যাকশনে বিশ্বাস করি।
বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে হঠাৎ ‘আগুন আগুন’ বলে চিৎকার শুরু হয় রাজধানীর বনানীর কামাল আতাতুর্ক এভিনিউর ৩২ নম্বর এফ আর টাওয়ার থেকে। দেখা যায়, বেরিয়ে আসছে আগুনের লেলিহান শিখা। এরপরই শুরু হয় দৌড়াদৌড়ি। মুহূর্তের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ে ২২ তলাবিশিষ্ট ওই ভবনে। হঠাৎ পাল্টে যায় বনানীর দৃশ্যপট।
প্রায় সাড়ে ছয় ঘণ্টা চেষ্টার পর সন্ধ্যা ৭টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় ফায়ার সার্ভিস। অগ্নিনির্বাপণ ও উদ্ধারকাজে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য ও বিমানবাহিনীর পাঁচটি হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হয়। ভবনটির ছাদে আটকে পড়া অনেককে উদ্ধার করে বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টার। এ ছাড়া অগ্নিনির্বাপণে হেলিকপ্টার থেকে ভবনটিতে পানিও ফেলা হয়।
এফ আর টাওয়ারের আগুনে এখন পর্যন্ত ২৫ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে। এতে আহত ও দগ্ধ হয়েছেন অন্তত ৭০ জন।