বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন স্বয়ং তাকে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে দলে ফেরাতে আগ্রহী। অবসর ভাঙিয়ে আবারও মাশরাফি বিন মর্তুজাকে ছোট ফরমেটে ফেরাতে নাকি চেষ্টাও করেছেন বিসিবি বিগ বস।
খুব স্বাভাবিকভাবেই বিষয়টি নিতান্তই স্পর্শকাতর। মাশরাফির জন্য খানিক বিব্রত ও অস্বস্তিকরও। তাইতো এ বিষয়ে মিডিয়ার কাছে কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্যও দেননি বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক।
গতকাল আবাহনীর প্র্যাকটিসে এসে শেরে বাংলার একাডেমির জিমে বসে সাথে একান্তে খানিকক্ষণ কথা বললেও টি-টোয়েন্টি দলে ফেরা নিয়ে কোনোরকম মন্তব্য করতে রাজি হননি মাশরাফি। শুধু বলেছিলেন, ‘বোর্ড সভাপতির সাথে কথা হয়েছে। হয়তো আরও হবে। তাই টি-টোয়েন্টি দলে ফেরা সম্পর্কে আমি কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দিতে চাই না। দয়া করে এ নিয়ে কোনো প্রশ্ন করবেন না। শুধু এটুকু বলতে পারি, এখন পর্যন্ত বিষয়টি নেতিবাচকই আছে। তারপরও শেষ কথা বলা ঠিক হবে না। কারণ বিষয়টি খোদ বোর্ড সভাপতি নিজে দেখছেন।’
ব্যক্তিগত আলাপচারিতায় ওপরের কথোপকোথনে কিছু আভাস দিয়ে রেখেছিলেন মাশরাফি। শুধু এই কথাটিই মুখ ফুটে বলেননি যে, ‘আমি কোনোভাবেই টি-টোয়েন্টি দলে আর ফিরবো না।’
কিন্তু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গত দু তিন ধরে জোর গুঞ্জন, মাশরাফি আবার টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে জাতীয় দলের হয়ে খেলবেন। কে বা কারা জোর গুজব রটিয়ে দিয়েছে, মাশরাফি আবার টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ফিরছেন, এমনকি শ্রীলঙ্কার মাটিতে আগামী মাসের প্রথম ভাগে শুরু হতে যাওয়া নিদাহাস ট্রফিতে বাংলাদেশ দলের অধিনায়কত্বও করবেন নড়াইল এক্সপ্রেস।
আজ পড়ন্ত বিকেলে সে গুজবের ইতি ঘটেছে। মাশরাফির টি-টোয়েন্টি দলে ফেরার কথা যে নিতান্তই গুজব ও ভিত্তিহীন- তা বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের কথায়ই পরিষ্কার হয়েছে। আজ বিকেলে মাশরাফি ইস্যুতে মিডিয়ার সাথে আলাপে বিসিবি প্রধান জানিয়ে দিলেন, তিনি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হোম সিরিজেই মাশরাফিকে খেলার কথা বলেছিলেন। কিন্তু মাশরাফি আগ্রহ দেখাননি।
মাশরাফির টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে আবার জাতীয় দলে ফেরা নিয়ে কিছু বলতে বলা হলে নাজমুল হাসান পাপন বলেন, ‘আগের সিরিজেই (শ্রীলঙ্কার সাথে দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ) মাশরাফিকে আমি ব্যক্তিগতভাবে বলেছিলাম খেলার জন্য। সে কোনো আগ্রহ দেখায়নি। এবারও তার কাছে খবর পাঠানো হয়েছে। মিডিয়ার মাধ্যমেও সে দেখেছে তাকে আবার দলে নিতে আগ্রহী আমরা। তবে আমার জানামতে, সে সম্পূর্ণভাবে ‘না’ করে দিয়েছে। সেজন্য মাশরাফিকে এখানে আমরা আর চিন্তা করিনি।’