শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত বরিশাল প্রেসক্লাব ও বরিশাল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং দৈনিক ইত্তেফাকের বরিশাল অফিস প্রধান লিটন বাশারের ৪র্থ মৃত্যুবার্ষিকী আজ।
ক্ষণজন্মা এই সাংবাদিক ২০১৭ সালের (২৭ জুন) হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মাত্র ৪৬ বছর বয়সে তিনি না ফেরার দেশে চলে যান।লিটন বাশার দেশের অন্যতম দৈনিক ইত্তেফাকের বরিশাল অফিস প্রধানের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি একজন সফল সংবাদকর্মী বান্ধব নেতা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। এছাড়াও তিনি বরিশাল থেকে প্রকাশিত স্থানীয় দৈনিক দখিনের মুখ’র প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ছিলেন। পাশপাশি দৈনিক বরিশালের ভোরের আলোর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক হিসেবে সম্পাদনা করতেন।
তিনি অত্যন্ত সুনামের সাথে শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত বরিশাল প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে একাধিকবার দায়িত্ব পালন করেছেন।সাংবাদিকদের আরেক সংগঠন বরিশাল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদকও নির্বাচিত হয়েছিলেন।লিটন বাশার এই দুটি সংগঠনের নির্বাচনে একজন বলিষ্ঠ নেতা হিসেবে প্যানেলের সকলকে বিজয়ী করতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন।তাঁর মৃত্যুর কয়েক মাস পূর্বে বরিশাল প্রেসক্লাব নির্বাচনে সভাপতি পদে প্রার্থী হয়ে তুমূল প্রতিদ্বন্দ্বীতা করে মাত্র এক ভোটে পরাজিত হন।
লিটন বাশারের মৃত্যু শোকে স্তব্ধ বরিশালের সাংবাদিক অঙ্গন একাধিক শোকসভার মাধ্যমে তাঁকে স্মরণ করেন।সাংবাদিক মাইনুল হাসান স্মৃতি সংসদের পক্ষ থেকে তাঁকে (মরণোত্তর) সাংবাদিক মাইনুল হাসান স্মৃতি পদক প্রদান করা হয়।উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে ঈদ উদযাপন করতে সাংবাদিক লিটন বাশার তার স্ত্রী ও একমাত্র সন্তানকে নিয়ে গ্রামের বাড়ি বরিশাল সদর উপজেলার চরমোনাই বুখাই নগরের বাড়ীতে যান।সেখানে অবস্থানকালে ঈদের দ্বিতীয় দিন সকালে লিটন বাশার হঠাৎ অসুস্থ বোধ করলে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আনা হয়।
পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। ওইদিন বাদ জোহর বরিশাল নগরীর সদর রোডস্থ বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে প্রথম ও পরে চরমোনাই এলাকার নিজ বাড়িতে দ্বিতীয় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়। তাঁর অকাল মৃত্যু বরিশালের সাংবাদিক অঙ্গণে এক অভাবনীয় শূন্যতার সৃষ্টি করেছে।