বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলা সদরে হাজার হাজার কৃষকের গলার কাটা হয়ে দাঁড়ানো বাঁধ দুটি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণের নির্দেশ দিয়েছেন বরিশাল কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক হরিদাস শিকারী। শনিবার দুপুরে বাঁধ এলাকা পরিদর্শন করে অপসারণের নির্দেশ দেন তিনি।
স্থানীয় কৃষকেরা জানান, কৃষি অফিসের উদাসীনতার কারণে সড়ক ও জনপথ উন্নয়নকাজের জন্য উপজেলা সদরে রাজিহার ও গৈলা খালের মুখে দুটি বাঁধ দেয়ায় ৩৫টি ব্লক পানি সঙ্কট থাকায় সংশ্লিষ্ট এলাকার কৃষকেরা মৌসুম শুরু হলেও পানি সেচের অভাবে চাষাবাদ করতে পারছে না। ওই খালে সঙ্গে স্থানীয় ছোট ছোট খালগুলো শুকিয়ে গেছে। দ্রুত বাঁধ কেটে দেয়া না হলে কোনোভাবেই ফসল উৎপাদন সম্ভব হবে না।
উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সুভাষ চন্দ্র মন্ডল বলেন, চলতি বছর উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নে মোট ৯ হাজার ৬৬৩ হেক্টর জমি ইরি-বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে হাইব্রিড ৬ হাজার ৫৪৭ হেক্টর ও উফসী ৩ হাজার ১১৬ হেক্টর জমি। কৃষি বিভাগ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ৪৩ হাজার ৩১৩ মেট্রিক টন চাল। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চলতি বোরো মৌসুমে ইতোমধ্যে ১ হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে আগাম বোরো ধান রোপণ করেছেন কৃষকরা। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৩ হাজার ৩১৩ মেট্রিক টন চাল। তবে সময়মতো এ ধান রোপণ সম্ভব না হলে লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছানো সম্ভব হবে না।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইইএনও) বিপুল চন্দ্র দাস বলেন, বাঁধের কারণে চাষিদের চাষাবাদ ব্যাহত হচ্ছে। বাঁধ অপসারণের জন্য বরিশাল জেলা প্রশাসক, সড়ক ও জনপথের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী, নির্বাহী প্রকৗশলী, সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের সঙ্গে কয়েক দফায় কথা বলেছি। এর প্রেক্ষিতে কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক হরিদাস শিকারী শনিবার দুপুরে ওই বাঁধ এলাকা পরিদর্শন করে তা অপসারণের নির্দেশ দেন।