অভিনেতা সোহেল চৌধুরী
ঢাকাই চলচ্চিত্রে আশি ও নব্বই দশকের জনপ্রিয় একজন চলচ্চিত্র অভিনেতা সোহেল চৌধুরী। ১৯৬৩ সালে ঢাকার বনানীতে জন্ম গ্রহণ করেন। ১৯৮৪ সালের নতুন মুখের সন্ধানের মাধ্যমে দেশিয় চলচ্চিত্রে পা রাখেন তিনি। একই বছর নির্মাতা এফ কবির চৌধুরী পরিচালিত ‘পর্বত’ সিনেমার মাধ্যমে রুপালি পর্দায় অভিষেক হয়।
৩০ টির বেশি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন এই অভিনেতা। বাংলা চলচ্চিত্রে সুদর্শন অভিনেতাদের মধ্যে সোহেল চৌধুরী অন্যতম বলে বিবেচনা করা হয়।
আজ থেকে ১৯ বছর আগে সিনেমার মতোই বনানীর ট্রাম্পস ক্লাবে সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হয়েছিলেন ওই সময়ের রুপালি পর্দার সুদর্শন নায়ক সোহেল চৌধুরী। তাকে বাঁচানো যায়নি। ১৯৯৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর দিবাগত রাত ২টার দিকে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করেন সোহেল চৌধুরী। তখন তার বয়স ছিল ৩৫ বছর।
সোহেল চৌধুরীর খুনের খবর পরদিন সকালে রাজধানীসহ সারাদেশে ছড়িয়ে পড়লে তোলপাড় শুরু হয়। শত শত মানুষ তাকে দেখতে ছুটে যান গুলশান থানা থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গ পর্যন্ত।
দীর্ঘদিন ধরে আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডের বিচারকাজ ঝুলে আছে। তার স্বজন ও সহকর্মীরা আজও ভোলেননি তাকে। তার হত্যাকারীদের শাস্তি দাবি করেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত তার হত্যার বিচার হয়নি। হত্যা মামলাটি কয়েক বছর ধরে হাইকোর্টের আদেশে স্থগিত রয়েছে।
অভিনেতার বাবা তারেক আহমেদ চৌধুরী ও মা নূরজাহান বেগম। ১৯৮৬ সালে সোহেল চৌধুরী তার সহ-অভিনেত্রী দিতিকে বিয়ে করেন। অভিনেত্রী দিতির সাথে সাংসারিক জীবনে তাদের দুইটি সন্তান রয়েছে। ১৯৮৭ সালে জন্ম হয় দিতি-সোহেল দম্পতির প্রথম সন্তান লামিয়া চৌধুরীর। ১৯৮৯ সালে এ দম্পতির ছেলে দীপ্ত চৌধুরীর জন্ম হয়। নব্বই দশকের মাঝামাঝি সময়ে দিতি ও সোহেল চৌধুরীর দাম্পত্য জীবনের বিচ্ছেদ ঘটে।
১৯৮৮ সালে আমজাদ হোসেন পরিচালিত ‘হীরামতি’, ১৯৮৯ সালে চাষী নজরুল ইসলাম পরিচালিত ‘বিরহ ব্যথা’, পরের বছর একই পরিচালকের ‘দাঙ্গা ফ্যাসাদ’, ১৯৯৫ সালে কামরুজ্জামান পরিচালিত ‘পাপী শত্রু’সহ ৩০ টির অধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন সোহেল চৌধুরী।