অনায়াসে সিরিজ জিতল বাংলাদেশ

লেখক:
প্রকাশ: ৬ years ago

  • ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ১৯৮/৯
  • বাংলাদেশ: ২০২/২ (৩৮.৩ ওভার)

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বদলা নেওয়া আর হলো না। এ বছরই বাংলাদেশ সফর করতে গিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজে। টেস্ট সিরিজে স্বাগতিক দলের দাপটে দুমরেমুচড়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে জয় পেয়েছিল সফরকারীরা। বাংলাদেশ সফরে এসে টেস্ট সিরিজেও একই দৃশ্য, স্বাগতিক দলের দাপট। টেস্টে বাংলাদেশের দাপটের পর ওয়ানডেতে ঘুরে দাঁড়ানোর আশা শুনিয়েছিলেন অধিনায়ক রোভম্যান পাওয়েল। কিন্তু ওয়ানডে সিরিজেও হেরে বসল উইন্ডিজরা। আজ সফরকারীদের ৮ উইকেটে হারিয়ে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতল বাংলাদেশ। ইনিংসের ১১.৩ ওভার বাকি থাকতেই ম্যাচ শেষ করেছে বাংলাদেশ।

জয়ের লক্ষ্যটা মাত্র ১৯৯। প্রথম ওভারেই লিটনের দুই চার অবশ্য অন্য কিছু মনে করাচ্ছিল। যতক্ষণ উইকেটে ছিলেন, দৌড়ে রান তোলার চেয়ে বাউন্ডারি মারাতেই আগ্রহ বেশি ছিল তাঁর। কিন্তু তাতে ডট বলের সংখ্যাই বেড়েছে। শেষ পর্যন্ত ১১তম ওভারের প্রথম বলে বাজে শট খেলে যখন লিটন আউট হলেন, ২৩ রানের ইনিংসেই ৫টি চার কিন্তু বল খেলেছেন ৩৩টি। অন্যপ্রান্তে তামিম ইকবাল বরং চার মারার চেয়ে স্ট্রাইক চেঞ্জ করাতেই মনোযোগ বেশি দিয়েই বেশি স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করছিলেন।

লিটনের আউট হওয়া তাই দলকে চিন্তায় ফেলেনি। ৪৫ রানে প্রথম উইকেট হারানোর পর বাংলাদেশ আরও আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে। অবশেষে টপ অর্ডারে সুযোগ পেয়ে সৌম্য প্রমাণ করেছেন, এখানেই তাঁর স্থান। ৮১ বলে ঝকঝকে ৮০ রানের একটি ইনিংস খেলেছেন। পাঁচটি চারের সঙ্গে মেরেছেন পাঁচটি ছক্কা। যখনই তাঁর সেঞ্চুরি হবে কি না, এমন একটা প্রশ্ন জেগেছিল, দলের জয় আর তাঁর সেঞ্চুরির জন্য প্রয়োজনীয় রানের সমীকরণ মেলানোর কথা ভাবা হচ্ছিল, তখনই কিমো পলের দ্বিতীয় শিকার সৌম্য। ১৩১ রানের দ্বিতীয় উইকেট জুটি থামল ৩৬তম ওভারে। জুটিতে তামিমের অবদান ছিল ৪৯।

সৌম্য আউট হওয়ার পরও জয় পেতে দেরি হয়নি বাংলাদেশের। ১৪ বলে ১৬ রান নিয়ে সিরিজ জয়ের কাজটা দ্রুত সেরেছেন মুশফিক। অন্যপ্রান্তে দলের আস্থা হয়ে ছিলেন তামিম। ১০৪ বলে ৮১ রানের নিখুঁত ইনিংসে ৯টি চার মেরেছেন তামিম। সৌম্যের ইনিংসের ক্ষেত্রে এটা বলা যাচ্ছে না। ইনিংসের প্রথম ছক্কার শটে আউট হতে পারতেন সৌম্য। ১৭তম ওভারের শেষ বলে মারলন স্যামুয়েলসকে উড়িয়ে মেরেছিলেন সৌম্য। মিড উইকেটে থাকা ব্রাফেট বল হাতে লাগিয়েও ধরে রাখতে পারেননি। সৌম্য তাই দ্বিতীয় জীবন পেয়েছেন ২০ রানে, বাংলাদেশের স্কোর তখন ৭৮। ৩৩ রানে থামতে পারত যে জুটি, সে জুটি পরে এনে দিয়েছে আরও ৯৮ রান। সেই সঙ্গে নিশ্চিত হয়েছে দেশের মাটিতে বাংলাদেশের আরেকটি সিরিজ জয়।