স্টিফেন হকিং অটিস্টিক ছিলেন কিন্তু তার গবেষণা সারা বিশ্বকে কাঁপিয়ে দিয়েছে। তেমনি বাংলাদেশের অটিস্টিক শিশুরা বিশ্ব অটিস্টিক অলিম্পিকে ২৫টি স্বর্ণ জয় প্রমাণ করেছে তারা বাংলাদেশের বোঝা নয় সম্পদ।
মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে এবি ব্যাংকের আয়োজনে ‘সােসাইটি ফর দ্য ওয়েলফেয়ার অব অটিস্টিক চিলড্রেন (সােযাক) এর ছেলে-মেয়েদের উপস্থাপনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এসব বলেন।
তিনি বলেন, আমরা বিশ্ব সংবাদ তখনই হই যখন বাংলাদেশের মেয়েরা পাকিস্তানকে ১২ গোলে হারিয়ে দেয়। যখন পাকিস্তানের টেলিভিশনে ১০ বছর পর একটা বাংলাদেশের মতো সমৃদ্ধশালী দেশ উপহার দেয়ার দাবি ওঠে।
‘একটা সময় পাকিস্তানিরা আমাদের কালো এবং খাটো বলে অবজ্ঞা করত। কিন্তু সেই পাকিস্তান এখন বাংলাদেশের দিকে তাকিয়ে দীর্ঘনিঃশ্বাস ফেলে।’
হাসান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু আয় করোনাকালে ভারতকে ছাড়িয়ে গেছে। এখন আর কেউ বাংলাদেশকে দরিদ্র দেশ বলতে পারছে না। আমরা মানব উন্নয়ন, সামাজিক ও অর্থনৈতিকসহ সব সূচকে পাকিস্তানকে পেছনে ফেলে এগিয়ে যাচ্ছি।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আজকে আমাদেরকে কেউ দরিদ্র দেশ বলতে পারবে না। সংবাদের শিরোনামও হবে না বাংলাদেশ দরিদ্র দেশ। কারণ বাংলাদেশে এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। আমরা বঙ্গবন্ধুর শতবার্ষিকীতে জাতিসংঘ থেকে ঘোষণা পেয়েছি বাংলাদেশ এখন মধ্যম আয়ের দেশ।
বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী ধর্ম, বর্ণ, গোত্র সবার জন্য সমান অধিকার রয়েছে। সবার মিলিত রক্তস্রোতের মাধ্যমে বাংলাদেশের অভ্যুদয়। অটিস্টিকদের সংবিধান অনুযায়ী সমান অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
অটিস্টিক বিষয়টিকে সামাজিক আন্দোলনে রূপান্তরিত করায় সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের প্রশংসা করে তিনি বলেন, একটা সময়কার অটিস্টিক শিশুদেরকে লুকিয়ে রাখা হত কিন্তু এই অটিস্টিক শিশুরা যে সম্পদ হতে পারে তা আজকে প্রমাণ দিচ্ছে। সবশেষে তিনি এমন আয়োজনের জন্য এবি ব্যাংকে ধন্যবাদ জানান।