ঈদের আগেই আগামী ৮ জুনের মধ্যে মহাসড়কে সংস্কার কাজ সম্পন্ন করতে আবারও সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের (সওজ) প্রকৌশলীদের হুঁশিয়ার করে তিনি বলেন, অজুহাত শুনতে চাই না, ৮ জুনের মধ্যে রাস্তা ঠিক চাই।
এ ছাড়া মহাসড়কে উল্টোপথে এমপি-মন্ত্রীর গাড়ি চললে তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নিতেও নির্দেশ দেন সেতুমন্ত্রী।
মঙ্গলবার মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় দ্বিতীয় মেঘনা সেতু প্রকল্প কার্যালয়ে এক সভায় অংশ নিয়ে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের যানজট নিরসনকল্পে করণীয় নির্ধারণে আয়োজিত ওই সভায় ওবায়দুল কাদের জানান, ঈদের আগে পরে চার দিন করে মোট ৯ দিন সিএনজি স্টেশন ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে। বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের সঙ্গে এ নিয়ে কথা হয়েছে এবং প্রতিমন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে এ ঘোষণা দেবেন।
ঈদ সামনে রেখে ঘরমুখো মানুষের যাত্রা নির্বিঘ্ন ও নিরাপদ করতে নানামুখী উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, যেখানে যেখানে সংস্কার করা প্রয়োজন, তা ৮ জুনের মধ্যে শেষ করতে হবে। রাস্তা সংস্কারে উদাসীনতা সহ্য করা হবে না। চলতি মৌসুমের অতিবর্ষণের দোহাই শুনতেও নারাজ সেতুমন্ত্রী।
তিনি প্রকৌশলীদের বলেন, ৮ জুনের মধ্যে রাস্তা ঠিক করতে হবে, অজুহাত চলবে না। আগামী ঈদ পর্যন্ত অফিস সময় ৯টা-৩টা কিংবা ৯টা-৪টা না ভেবে সংশ্নিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রয়োজনে রাত ১২টা পর্যন্ত কাজ করার অনুরোধ জানান ওবায়দুল কাদের।
মহাসড়কের যানজট নিয়ন্ত্রণে পুলিশ বাহিনীকে কঠোর অবস্থানে থাকার নির্দেশ দিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, এমপি-মন্ত্রী যেই হোন কোনো অবস্থাতেই গাড়ি রংসাইডে চলতে দেওয়া যাবে না। গাড়ি উল্টোপথে চললে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিতে হবে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানজট এরই মধ্যে নিয়ন্ত্রণে এসেছে।
দ্বিতীয় কাঁচপুর, মেঘনা ও মেঘনা-গোমতী সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হলে যানজট একেবারেই কমে যাবে বলে দাবি করে কাদের বলেন, সেতু তিনটির নির্মাণকাজ নির্ধারিত সময়ের ছয় মাস আগেই শেষ হবে। এতে প্রায় সাড়ে ৭০০ কোটি টাকা ব্যয় কমবে। এটা একটি বিরল ঘটনা।
মতবিনিময় সভায় বক্তৃতা করেন সংসদ সদস্য সুবিদ আলী ভূঁইয়া, গোলাম দস্তগীর গাজী, এ কে এম সেলিম ওসমান, নজরুল ইসলাম বাবু, লিয়াকত হোসেন খোকা এবং সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব নজরুল ইসলাম, সড়ক ও জনপথ বিভাগের চিফ ইঞ্জিনিয়ার ইবনে আলম হাসান, নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক রাব্বি মিয়া, মুন্সীগঞ্জের জেলা প্রশাসক সায়লা ইসলাম, হাইওয়ে পুলিশের ডিআইজি আতিকুর রহমান, চট্রগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মনিরুজ্জামানসহ অনেকে। নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ ও কুমিল্লার জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার, পরিবহন মালিক-শ্রমিক নেতৃবৃন্দ সভায় উপস্থিত ছিলেন।