বরিশাল কেন্দ্রিয় কারা হাসপাতালের কোয়ারেন্টাইন ওয়ার্ডে এক ধর্ষন মামলার আসামী গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। শুক্রবার (১৩ নভেম্বর) দিবাগত রাত পৌঁনে ৩টার দিকে ওই ওয়ার্ডের টয়লেটে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে দুই কারারক্ষীকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে কারা কর্তৃপক্ষ।
আত্মহত্যাকারী ওই ব্যক্তির নাম মো. হানিফ খলিফা (৪০)। সে তার নিজের প্রতিবন্ধি কিশোরী কন্যা ধর্ষনের মামলায় গত ১ অক্টোবর থেকে বরিশাল কেন্দ্রিয় কারাগারে হাজতি হিসেবে বসবাস করে আসছিলো।
গত ৯ নভেম্বর তাকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডিএনও পরীক্ষা করা হয়। এ কারনে কারাগারে তাকে দ্বিতীয় দফায় কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়।
হানিফ খলিফা নগরীর কাশীপুর চৌহুতপুর এলাকার অস্থায়ী বাসিন্দা। সে জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার মধুকাঠী এলাকার আলী মো. খলিফার ছেলে ছিলো।
বরিশাল কেন্দ্রিয় কারাগারের ডেপুটি জেলার মো. ইব্রাহীম জানান, গত শুক্রবার রাত পৌঁনে ৩টার দিকে হানিফ খলিফা কারাগারের কোয়ারেন্টাইন ওয়ার্ডের টয়লেটে যায়।
দির্ঘক্ষনে টয়লেট থেকে না বের হওয়ায় অন্যান্যদের সন্দেহ হয়। পরে দায়িত্বরতরা টয়লেটে প্রবেশ করে হানিফ খলিফাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়।
তাৎক্ষনিক তাকে উদ্ধার করে শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক হানিফ খলিফাকে মৃত্যু ঘোষনা করে। ময়না তদন্তের জন্য তার লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেন ডেপুটি জেলার।
এদিকে কারাগারের অভ্যন্তরে হাজতি আসামীর আত্মহত্যার ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে কারাগারের প্রধান রক্ষী আনছার আলী মন্ডল এবং রক্ষী মো. কাওছারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বরিশাল কেন্দ্রিয় কারাগারের সুপার প্রশান্ত কুমার বনিক।
নিজের প্রতিবন্ধি কিশোরী কন্যাকে (হালিমা ১৩) ধর্ষনের অভিযোগে গত ৩০ সেপ্টেম্বর নগরীর বিমান বন্দর থানায় হানিফের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন তার স্ত্রী (শিমুল বেগম)।
গত পহেলা অক্টোবর স্থানীয় জনগন তাকে আটক করে গনপিটুনী দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে। পুলিশ তাকে আদালতে সোপর্দ করলে ওই দিনই তাকে কারাগারে প্রেরনের নির্দেশ দেন বিচারক।