শামীম আহমেদ ॥ বরগুনা জেলার বহুল আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলার বরগুনা জেলা জজকোর্ট থেকে ঘোষিত মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামী আল কাইউম ওরফে রাব্বি আকন (২১), রেজওয়ান আলী খান হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয় (২২) ও মোঃ হাসান (১৯)কে আজ শুক্রবার (৩০ই) আক্টোবর দুপুর ১টায় বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগার কর্তৃপক্ষের নিকট হস্তান্তর করেছে বরগুনা জেলা কাগার কর্তৃপক্ষ।
রিফাত হত্যা মামলার তিন ফাঁসির আসামী সহ বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে তিনজন মহিলা সহ মোট আশিজন ফাঁসির আসামীর বাসস্থান হয়েছে।
এতথ্যের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারের ডিপুটি জেলার ইব্রাহিম শাওন। জানাগেছে বরগুনা জেলা কারাগারে ফাঁসির আসামী রাখার উপযুক্ত স্থান না থাকার কারনে উর্ধ্বতোন কর্তৃপক্ষের এক আদেশে এই তিন ফাঁসির আসামীকে সেখান থেকে বরিশালে স্থানন্তর করা হয়।
এর একদিন বৃহস্পতিবার সকালে রিফাতের স্ত্রী ও নয়নবন্ডের প্রেমিকা আয়সা সিদ্দিকী মিন্নিকে কাসিমপুর মহিলা কারাগারে স্থানন্তর করেন বরগুনা জেলা কারা কর্তৃপক্ষ।
উল্লেখ্য ২০০৯ সালের ২৬ই জুন বরগুনা সরকারী কলেজের সামনে প্রকাশ্য দিবালোকে নয়নবন্ড ও তার সহযোগীরা রিফাত শরীফকে কুপিয়ে আহত করা হলে বিকালে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু ঘটে।
এঘাটনায় রিফাতের পিতা মোঃ আব্দুল হালিম দুলাল শরীফ বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখ করা সহ আরো ৫/৬জন অজ্ঞানামাদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
ওই বছরের ১লা সেপ্টেম্বর মামলার তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা বরগুনা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নিহত রিফাত শরীফের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকী মিন্নি সহ ১০ জন প্রাপ্তবয়স্ক ও ১৪জন অপ্রাপ্তবয়স্ক আসামী দু’ভাগে বিভক্ত করে তদন্তের প্রতিবেদন দাখিল করেন।
দীর্ঘ শুনানী শেষে চলতি বছরের ৩০ই সেপ্টেম্বর বরগুনা জেলা জজ মোঃ আসাদুজ্জামান মিন্নি সহ ৬জনকে মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত ফাঁসিতে ঝুলিয়ে কার্যকর করার আদেশ দেন।
অপর ৪জন দোষী প্রমানিত না হওয়ায় তাদেরকে বে-কসুর খালাশ প্রদান করে।