কাউন্সিলর ইরফান সেলিম বরখাস্ত

লেখক:
প্রকাশ: ৪ years ago

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৩০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইরফান সেলিমকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) রাতে তাকে বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে আদেশ জারি করা হয়।

নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তাকে মারধর এবং বাড়ি তল্লাশির পর র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত কারাদণ্ড দেয়ায় ইরফানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

ইরফান সেলিম ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের পুত্র এবং নোয়াখালীর সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরীর জামাতা।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, কাউন্সিলর ইরফান সেলিমের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তা ও তার স্ত্রীর ওপর হামলার অভিযোগে ফৌজদারি মামলা করা হয়েছে। এছাড়া বিদেশি মদ সেবনের দায়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত তাকে এক বছরের কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন। ইতিমধ্যে কারাগারে রয়েছেন তিনি।

অবৈধ ওয়াকিটকি রাখা ও ব্যবহারের দায়ে ইরফান ভ্রাম্যমাণ আদালতে ৬ মাস কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছেন বলেও আদেশে উল্লেখ করা হয়।

এতে আরও বলা হয়, ইরফানের বিরুদ্ধে অবৈধ অস্ত্র ও মাদক রাখার দায়ে আরও মামলা করার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। তার এসব কর্মকাণ্ড ‘স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন, ২০০৯’ অনুযায়ী নৈতিক স্খলনজনিত অপরাধ এবং অসদাচরণের শামিল।

 

তাই ‘স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন, ২০০৯’ অনুযায়ী তাকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত রোববার (২৫ অক্টোবর) রাতে এমপি হাজী মো. সেলিমের ‘সংসদ সদস্য’ লেখা সরকারি গাড়ি থেকে নেমে নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ওয়াসিফ আহমেদ খানকে মারধর করা হয়। রাজধানীর কলাবাগান সিগন্যালের পাশে এ ঘটনা ঘটে। রাতে এ ঘটনায় জিডি হলেও সোমবার (২৬ অক্টোবর) ভোরে হাজী সেলিমের ছেলে ইরফানসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়। পরে দুপুরে ইরফানকে গ্রেফতার করে র‌্যাব।

ওইদিন পুরনো ঢাকার তার বাসায় অভিযানও পরিচালনা করে র‌্যাব। অভিযানে ৩৮টি ওয়াকিটকি, পাঁচটি ভিপিএস সেট, অস্ত্রসহ একটি পিস্তল, একটি একনলা বন্দুক, একটি ব্রিফকেস, একটি হ্যান্ডকাফ, একটি ড্রোন এবং সাত বোতল বিদেশি মদ ও বিয়ার উদ্ধার করা হয়েছে।

কাউন্সিলর ইরফান সেলিম ও তার বডিগার্ড মোহাম্মদ জাহিদকে কারাগারে পাঠান র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। সোমবার রাতেই তাদের কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।