বরিশালে শিশু ও নারী ধর্ষকদের আইনি সহায়তা না দেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে জেলা আইনজীবী সমিতির কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) খেলাঘর বরিশাল জেলা কমিটির পক্ষে এ স্মারক লিপি দেওয়া হয়।
স্মারক লিপিটি গ্রহণ করেছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট আফজালুল করিম ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট কায়ুম খান কায়সার।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, দেশব্যাপী শিশু ও নারী ধর্ষণের ঘটনা বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষিতে বর্তমান সরকার ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করেছে। সাধারণ মানুষ ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে ঘৃণা প্রকাশসহ শিশু ও নারী নির্যাতনের প্রতিবাদে সংবেদনশীল অবস্থান গ্রহণে সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষকে আহ্বান জানিয়েছে।
সে ধারাবাহিকতায় জাতীয় শিশু কিশোর সংগঠন খেলাঘরের পক্ষ থেকে শিশু ও নারী ধর্ষণের ঘটনায় আসামি পক্ষে কোন আইনজীবী নিয়োগ না দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়। আইনজীবী সমিতির মাধ্যমে ইতিবাচক উদ্যোগ গ্রহণ করলে শিশু ও নারীর পথচলাকে সুগম করবে।
এ প্রসঙ্গে আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট আফজালুল করিম বলেন, সংবিধানের আইনি সহায়তা ও ন্যায় বিচার পাওয়ার অধিকার প্রত্যেক নাগরিকের। কিন্তু একজন মানুষ হিসেবে শিশু ও নারী ধর্ষণের মতো জঘন্যতম কাজের সঙ্গে জড়িতদের সমাজের কারও সহায়তা করা উচিৎ নয় বলে মনে করি। খেলাঘরের পক্ষে থেকে যে আবেদনটি করা হয়েছে, তা আইনজীবী সমিতির সদস্যদেরও অবহিত করা হবে।
সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট কাইয়ুম খান কায়সার বলেন, প্রকৃত পক্ষে ধর্ষণের মতো জঘন্য ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আইনি সহায়তা না দেওয়া নৈতিক দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। সম্প্রতি বাকের গঞ্জের চার শিশুর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের মত ঘটনায় আইনি সহায়তা দেওয়া না হলে নিরাপরাধীরাও হয়রানির শিকার হবেন। খেলাঘর বরিশাল জেলা কমিটির পক্ষ থেকে দেওয়া স্মারক লিপিটি নিয়ে জ্যেষ্ঠ আইনজীবীদের পরামর্শ নিয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সে সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- খেলাঘর কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য জীবন কৃষ্ণ দে, বরিশাল জেলা কমিটির সভাপতি নজমুল হোসেন আকাশ, সাধারণ সম্পাদক তৌছিক আহমেদ রাহাত, সাবেক সাধারণ সম্পাদক শুভঙ্কর চক্রবর্তী, কাজী সেলিনা, নিগার সুলতানা হনুফা, সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য মঈনুল ইসলাম সবুজ, সুব্রতপাল বাপ্পী, পারভীজ বেগম, সদস্য মুন্নাসহ আইনজীবী সমিতির সদস্য এ্যাড. বিশ্বনাথ দাস মুন্সি, অ্যাডভোকেট নিতাই চন্দ্র প্রমুখ।