একসঙ্গে পদত্যাগ করলেন দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ডের (সিএসএ) সব সদস্য। রোববার পদত্যাগ করেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ডের ছয়জন পরিচালক। আজ (সোমবার) সকালে একসঙ্গে পদত্যাগ করেছেন বোর্ডের বাকি থাকা ১০ সদস্য।
ছয় পরিচালকের পদত্যাগের ধারাবাহিকতায়ই এসেছে বাকিদের পদত্যাগের সিদ্ধান্ত। রোববার পদত্যাগ করাদের মধ্যে ছিলেন ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট বেরেসফোর্ড উইলিয়ামস, চারজন অ-স্বতন্ত্র সদস্য এবং একজন স্বতন্ত্র সদস্য দেভেন ধর্মলিঙ্গাম।
তাদের পর আজ সকালে পদত্যাগ করলেন অ-স্বতন্ত্র পরিচালক জোলা থামাই এবং তিন স্বতন্ত্র পরিচালক ইউগেনিয়া কুমা আমেয়াও, মরিস স্কোম্যান এবং ভুয়োকাজি মেমানি সেডিল। টুইটারে এক বিবৃতির মাধ্যমে এ খবর জানিয়েছে ক্রিকেট সাউথ আফ্রিকা (সিএসএ)।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘সদস্যের কাউন্সিল হওয়ার পর সবার আলোচনায় উঠে এসেছিল যে দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটের ভালোর জন্য পুরো বোর্ডেরই পদত্যাগ করা উচিত। আজ সকালে সেটিই করেছে তারা। স্বতন্ত্র ও অ-স্বতন্ত্র সব পরিচালকই দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছেন।’
দক্ষিণ আফ্রিকার স্পোর্টস ফেডারেশন এবং অলিম্পিক কমিটির নির্দেশনা অনুযায়ী ক্রিকেট বোর্ডের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন একটি পরিচালন কমিটি ঠিক করতে বলা হয়েছিল। তবে মেম্বারস কাউন্সিলের পরামর্শ থাকার পরেও তখনকার কমিটি ভাঙতে রাজি হয়নি ক্রিকেট সাউথ আফ্রিকা।
যে কারণে পুরো বিষয়টিকে দেশের ক্রীড়ামন্ত্রী নাথি থেতওয়ার কাছে হস্তান্তর করে দেয় অলিম্পিক কমিটি। পরে ক্রীড়ামন্ত্রী ক্রিকেট সাউথ আফ্রিকাকে ‘ন্যাশনাল স্পোর্টস এন্ড রিক্রিয়েশন অ্যাক্ট’ অমান্য করার যথাযথ কারণ দেখানোর জন্য মঙ্গলবার পর্যন্ত সময় বেঁধে দেয়।
থেতওয়া আইসিসিতেও নোটিশ পাঠিয়ে রেখেছিলেন যে তিনি সাম্প্রতিক সময়ের সংকট উত্তরণে যথাযথ পদক্ষেপ নেবেন। যার ফলে এখন সরকারের হস্তক্ষেপমুক্ত হয়ে অলিম্পিক কমিটির সঙ্গে মিলে নতুন সাংগঠনিক কাঠামো দাঁড় করাতে পারবে দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ড।
তবে এক্ষেত্রে আবার আছে ক্রীড়ামন্ত্রীর কড়া নির্দেশ। মঙ্গলবারের মধ্যে তাকে অন্তর্বর্তীকালীণ কমিটি গঠনের মাধ্যমে ভবিষ্যত পরিকল্পনার ব্যাপারে জানাতে হবে। এই কমিটিতে অন্তত একজন সাবেক ক্রিকেটারকে রাখার বাধ্যবাধকতাও দিয়ে দেয়া হয়েছে। এখন পদত্যাগ করা পরিচালকরা পুনরায় এ দায়িত্ব নিতে পারবেন কি না সে বিষয়টি পরিষ্কার নয়।