একটি মানুষও না খেয়ে কষ্ট পাবে না, একটি মানুষও গৃহহীন থাকবে না। প্রত্যেকটা মানুষ চিকিৎসা সেবা পাবে, কোনো মানুষ পুষ্টিহীনতায় ভুগবে না, আমাদের বিশাল সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির মাধ্যমে আমরা সহযোগিতা করছি। খাদ্যের সাথে সাথে পুষ্টির নিশ্চয়তা হয়, মানুষজন সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হয়- সেটাই আমাদের লক্ষ্য। জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধামুক্ত দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলাদেশ আমরা কায়েম করব।
শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে বিশ্ব খাদ্য দিবস-২০২০ উপলক্ষে কৃষি মন্ত্রণালয় আয়োজিত এক আন্তর্জাতিক সেমিনারে যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, খাদ্য নিরাপত্তা যাতে নিশ্চিত থাকে সে লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে সরকার। প্রতিটি মানুষের ঘরে খাবার পৌঁছানোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। দরিদ্র যারা আমরা তাদের মাঝে বিনা পয়সায় খাবার বিতরণ করে যাচ্ছি, এটা আমরা অব্যাহত রাখবো। বাংলাদেশ সম্পর্কে আমাদের একটাই চিন্তা- জাতির পিতা চেয়েছেন ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত, উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে, আমরা সেই লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। ইনশাআল্লাহ আমরা তা অর্জন করতে পারব।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মানুষ অত্যন্ত সাহসী, তারা যেকোনো পরিস্থিতির মোকাবিলা করার ক্ষমতা রাখে। আমরা করোনার সাথে সাথে ঝড়-বন্যা সবই মোকাবিলা করে যাচ্ছি। এভাবেই আমাদের বাঁচতে হবে। এক ইঞ্চি জমিও কেউ ফেলে রাখবেন না, গাছ লাগান, ফল লাগান, তরিতরকারি লাগান যে যা পারেন কিছু লাগিয়ে নিজের উৎপাদন বাড়ান।
তিনি বলেন, আজকে আপনারা জানেন করোনাভাইরাস সারা বিশ্বকে নাড়া দিয়েছে। যখনই করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে তখনই আমরা সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছি খাদ্য উৎপাদনে। আমাদের খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি করতে হবে, খাদ্যের নিশ্চয়তাটা থাকতে হবে। কারণ, করোনা ভাইরাসের কারণে সমগ্র বিশ্বে স্থবির একটা দুর্ভিক্ষের সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে। বাংলাদেশে যেন তার প্রভাব না হয়, আমাদের দেশের মানুষ যেন কোনোরকম কষ্ট ভোগ না করে সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আমরা প্রণোদনা দিয়ে যাচ্ছি। কৃষিকে যান্ত্রিকীকরণে আমরা বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছি।
সেমিনারে যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার অর্গানাইজেশনের মহাব্যবস্থাপক কিউ ইউ ডনিউ ভিডিও বার্তায় বক্তব্য দেন।
গণভবন প্রান্তে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম।