পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলা যুবলীগ কর্মী তাপস (৩৪) হত্যা মামলার প্রধান আসামী বাউফল পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. জিয়াউল হক জুয়েল জামিন পেয়েছেন। সোমবার পটুয়াখালীর সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক রোখসানা পারভীন মামলার পুলিশি প্রতিবেদন দাখিল না হওয়া পর্যন্ত মেয়র জুয়েলকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়েছেন। এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন মেয়র জুয়েলের প্রধান আইনজীবী অ্যাডভোকেট মুজাহিদুল ইসলাম জাহিদ।
গত ২৪ মে বাউফলে আওয়ামীলীগের দুপক্ষের সংঘর্ষের সময় প্রতিপক্ষের হামলায় যুবলীগ কর্মী তাপস কুমার দাস নিহত হন।
সোমবার আদালত মামলার অপর আসামি প্রথম আলো’র বাউফল প্রতিনিধি এবিএম মিজানুর রহমান মিজানকে পুলিশি প্রতিবেদন দাখিল না হওয়া পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়েছেন। আসামি জিয়াউল হক ও মিজানুর রহমান এর আগে গত ২৪ আগস্ট উচ্চ আদালত থেকে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন নিয়েছিলেন।
এদিকে বাউফলের এই আলোচিত মামলার প্রধান আসামির জামিন শুনানিকে কেন্দ্র করে আদালত প্রাঙ্গণে বাউফল উপজেলা আওয়ামীলীগের দুই পক্ষের সমর্থকদের ব্যাপক উপস্থিতি ঘটে। এ কারণে আদালত চত্বরে অতিরিক্ত র্যাব ও পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
গত ২৪ মে রোববার দুপুরে বাউফল পৌর শহরের ডাকবাংলোর সামনের সড়কে একটি তোরণ নির্মাণ করাকে কেন্দ্র করে বাউফল পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. জিয়াউল হকের পক্ষের সমর্থক ও স্থানীয় সাংসদ আ,স,ম,ফিরোজ সমর্থিতদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় তাপস কুমার দাস নামের ওই যুবলীগ কর্মী আহত হন। ওইদিন রাতে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তাপস। নিহত তাপস স্থানীয় সাংসদ আ,স,ম ফিরোজের সমর্থক ছিলেন।
এ ঘটনায় নিহত তাপসের বড় ভাই পঙ্কজ চন্দ্র দাস বাদী হয়ে পরদিন (২৫ মে) রাতে বাউফল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। ওই মামলায় মেয়র জিয়াউল হক জুয়েলসহ ৩৫ জনকে আসামী করা হয়।