বরিশালে বৃদ্ধার চুল কেটে নির্যাতনের অভিযোগ, বিচার দাবী

লেখক:
প্রকাশ: ৪ years ago

বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলায় একটি পরিবারকে বাস্তুচ্যুত করার জন্য ওই পরিবারের এক বৃদ্ধাকে অমানুসিক নির্যাতন করে চুল কেটে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

 

নির্যাতন বন্ধ করে শান্তিপূর্নভাবে বাঁচার আঁকুতি জানিয়েছেন ওই বৃদ্ধা ও তার পরিবার। এ ঘটনার বিচার দাবী করেন তারা। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানিয়েছেন বরিশালের সুশীল সমাজ। এদিকে এ ব্যাপারে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার।

 

 

শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১২টায় বরিশাল প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে নির্যাতনের অভিযোগ করে প্রতিকারের দাবী জানান মেহেন্দিগঞ্জের কাজীরহাট থানার আন্দারমানিক গ্রামের বৃদ্ধা সফুরা বেগম (৬৫)।

 

 

এ সময় সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ওই এলাকার জনৈক সেকান্দার আলী হাওলাদারের কাছ থেকে ২০০৬ সালের নভেম্বর মাসে ৪০ হাজার টাকায় ১৮ শতাংশ জমি ক্রয় করেন ঘর বাড়ি নির্মান করে বসবাস করে আসছেন তারা। সম্প্রতি সেকান্দার ওই জমি বাবদ আরও দুই লাখ টাকা দাবী করেন।

 

 

এ নিয়ে বিরোধ সৃস্টি হলে গত ১৫ জুলাই বৃদ্ধা সফুরার উপর নির্মম নির্যাতন চালানো হয়। তার চুল কেটে এবং কুপিয়ে আহত করে তারা।

 

এ ঘটনায় কাজীরহাট থানায় মামলা করতে গেলেও পুলিশ প্রথমে চিকিৎসা গ্রহনের পরামর্শ দেয়। দির্ঘ চিকিৎসার পর গত সপ্তাহের শেষ দিকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়ে গতকাল প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে ওই ঘটনার প্রতিকার দাবী করেন তারা।

 

 

মারধর এবং চুল কেটেও আসামীরা ক্ষ্যন্ত হয়নি বলে অভিযোগ বৃদ্ধা সফুরার। আরেকটি মামলায় আসামীরা জামিনে বের হয়ে পুনরায় নানাভাবে হয়রানী, হুমকী এবং নির্যাতন চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। মামলার আসামীরা ওই এলাকার প্রভাবশালী হওয়ায় স্থানীয় কেউ এর প্রতিবাদ করতে পারছেন না বলে দাবী করেন বৃদ্ধা সফুরা।

 

 

এ অবস্থায় সংবাদ সম্মেলন করে পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সু-দৃস্টি কামনা করা হয়।

 

 

মায়ের চুল কেটে নেয়া সহ নির্যাতনকারীদের কঠোর বিচার চেয়েছেন সফুরা বেগমের মেয়ে সোনিয়া বেগম। তিনি নিজ বাড়িতে শান্তিতে বসবাসের পরিবেশ সৃস্টির দাবী জানিয়েছেন।

 

 

নারীর চুল কেটে দেয়ার ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে অভিযুক্তদের কঠোর বিচার দাবী করেছেন বরিশাল সচেতন নাগরিক কমিটির (সনাক) সভাপতি অধ্যাপক শাহ্ সাজেদা।

 

 

জেলা পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, জমি নিয়ে ওই দুই পরিবারের পুরনো বিরোধের জের ধরে উভয়পক্ষ পৃথক দৃটি মামলা দায়ের করে।

 

 

পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেছিলো। জামিনে বেড়িয়ে এসে তারা ফের ওই পরিবারকে কোন নির্যাতন করে থাকলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।